আওয়ার ইসলাম: ভারত নতুন করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালানো ষড়যন্ত্র করছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশী। খবর বিবিসির।
পাকিস্তান দাবি করছে, তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, এই মাসে ভারত আবারো পাকিস্তানে হামলা চালাবে। ভারত যদিও বলছে পাকিস্তান ‘যুদ্ধ বিষয়ক হিস্টিরিয়ায়’ আক্রান্ত।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশী রোববার এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি সম্ভাব্য হামলার একটি নিদিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত উল্লেখ করেছেন।
কোরেশী বলেন, ‘পাকিস্তানের উপর আক্রমণের একটা আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছ সেই অনুযায়ী এই হামলা এপ্রিলের ১৬ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে যেকোনো সময়ে হতে পারে।’
তিনি ‘যথেষ্ট দায়িত্ব’ নিয়েই এই অভিযোগ করছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলছেন, ‘কূটনৈতিক চাপ’ বাড়ানোর জন্যেই এটা করা হতে পারে।
ভারতের হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে পাকিস্তান ইতোমধ্যেই সে দেশে ভারতের হাই কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেছেন, পাকিস্তান ‘যুদ্ধ বিষয়ক হিস্টিরিয়ায়’ ভুগছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, পাকিস্তান ‘পরিষ্কারভাবে এই অঞ্চলে যুদ্ধ ভীতি তৈরি করতে চায়।’
তিনি বরং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ‘এই লোক দেখানো বিষয়টি দিয়ে পাকিস্তান তার দেশের জঙ্গিদের ভারতে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর আহবান জানাচ্ছে।’
ভারত বহুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে পাকিস্তান সেদেশে জইশ-ই-মোহাম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের আশ্রয় দিয়ে আসছে, যাদের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জন্য দায়ী করে ভারত।
নতুন উত্তেজনার শুরুটা ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০ জনেরও বেশি ভারতের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হওয়ার ঘটনা থেকে।
ভারত বলছে, পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিদের কাজ এটি। এরপর দুদেশের সম্পর্ক আবারো তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এরপর ভারত তার জবাব দেয় পাকিস্তানে বিমান হামলা চালিয়ে।
তারা দাবি জানায়, পাকিস্তানের ভেতরে জঙ্গিদের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল তাদের হামলার লক্ষ্য। এর পরপরই পাকিস্তান পাল্টা দাবি করে তারা তাদের অংশে কাশ্মীরে ভারতের একটি বিমান ভূপাতিত করে এবং তার পাইলটকে বন্দি করে।
সেই পাইলটকে ঘটা করে আবার ভারতের কাছে ফেরতও দেওয়া হয়। কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তানকে বিভক্তকারী ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ বা নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে ১৯৭১ সালের পর এই প্রথম কোন বিমান হামলা ছিল এটি।
এমএম/