আওয়ার ইসলাম: ৫ জেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩২জন।
সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ জেলায়। এ জেলায় মারা গেছেন সাতজন আহত হয়েছেন অন্তত ২৪জন।
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে দুটি পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৪জন। বৃহস্পতিবার ভোর ও বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
পাবনা
পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবড়িয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ইঞ্জিনচালিত নছিমন চাপায় মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন।
নিহত দুইজন হলেন, বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের দিন মজুর আকবর আলীর স্ত্রী রিমি বেগম (৪০) ও তার মেয়ে বর্ষা (৮)। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ভ্যানচালক আকবর আলী। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাগেরহাট
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ট্রাকের ধাক্কায় আহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তারা দুইজনই স্কুলশিক্ষক।
বুধবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার জয়ডিহি কাহালপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কে দুর্ঘটনায় তারা গুরুতর আহত হন। রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনই মারা যান।
নিহত দুই স্কুলশিক্ষক হলেন, মোল্লাহাট উপজেলার সরোসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম দুলাল (৪৫) ও একই উপজেলার সরোসপুর দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাহারুল আলম মোল্লা (৪৩)।
টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে বাসচাপায় আনোয়ার খান নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাটিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার খান দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল উত্তরপাড়া গ্রমের আব্দুর রশিদ খানের ছেলে। তিনি করটিয়া সাদত কলেজের শিক্ষার্থী।
মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরির চাপায় আবদুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি গুরুতর আহত ছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের উজানভাটি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মেয়ে লাকি আক্তার (৩০) আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।