আবদুল্লাহ তামিম: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত শুকরানা মাহফিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত সাইফুল ইসলামের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ সোমবার বাদ আসর হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের পাইলট স্কুল মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা পড়ান সাইফুল ইসলামের চাচা। জানাজা শেষে তাকে সন্ধ্যায় দাফন করা হয়।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহসভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মুফতি নুরুল আমিন, আলহাজ আমেনা বেগম টাইটেল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাঈদ আল মামুন, মুহাদ্দিস মুফতি বোরহানুদ্দিন কাসেমী, ইসলামী ঐক্যজোট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি মাওলানা ইদ্রিসসহ স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও জনসাধারণ।
জানাজাপূর্ব বক্তব্যে ঢাকা থেকে আসা মেহমানগণ দেশবাসীর কাছে সাইফুল ইসলামের জন্য দোয়া চান, তার পরিবারের জন্য গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।
জানাজা শেষে আল হাইয়াতুল উলয়ার পক্ষ থেকে সাইফুল ইসলামের মায়ের হাতে সান্ত্বনা স্বরূপ নগদ এক লক্ষ টাকা তুলে দেয়া হয়।
সাইফুল ইসলামের মা, বাবা, তিন বোন ও ছোট দুই ভাই রয়েছে। তার বাবা থাকেন সৌদি আরবে।
এর আগে সকালে আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম সাইফুল ইসলাম ও তার শোকার্ত পরিবারকে নিয়ে নিউজ প্রকাশ করে।
জানা যায়, দুপুরে হাইয়াতুল উলইয়ার প্রতিনিধি হয়ে মাওলানা নূরুল আমিনসহ বেফাকের দুই ককর্মকর্তা মাধবপুরে রওনা দেন। বিকাল সাড়ে তিনটায় তারা সাইফুল ইসলামের বাড়িতে পৌঁছেন।
জানাজা ও দাফন শেষে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইসলামপুরের আমেনা বেগম টাইটেল মাদরাসায় যান।
এর আগে বিকালে সাইফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন হাইয়াতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা আহমদ শফী ও কো চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফ আলী।
উল্লেখ্য, কওমি মাদরাসার সনদের আইন পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা উপলক্ষে গতকালের শুকরানা মাহফিলে সারাদেশ থেকে জড়ো হয়েছিল কয়েক লক্ষ উলামায়ে কেরাম ও মাদরাসা শিক্ষার্থী।
সাইফুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর ইসলামপুরের আলহাজ আমেনা বেগম টাইটেল মাদরাসার মেশকাত জামাতের শিক্ষার্থী।
মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে তিনিও শুকরানা মাহফিলে এসেছিলেন। মাহফিল চলাকালীন প্যান্ডের ভেতর একটি খুঁটিতে থাকা বিদ্যুতের লাইনে হাত লাগলে সাইফুলের শরীরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
-আরআর