মাহমুদুল হাসান
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
ঢাকা মারকাজুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার শিক্ষাসচিব ও বিভাগীয় তাখাসসুস ফী উলুমিল হাদিস এর প্রধান মুফতি আব্দুল মালেক বলেন আলেমরা দায়িত্ব হিসেবে তাবলিগ-জামাতের সংশোধন করছেন। আলেমরা দাওয়াতে তাবলিগের বিরোধী নয়। আলেমরাই তো দাওয়াতে তাবলিগের মূল। মাওলানা সাদ ভুলগুলো কুরআন-সুন্নাহবিরোধী, মেনে নেয়া যায় না।
৩১ অক্টোবর (বুধবার) কিশোরগঞ্জ অাজিমুদ্দীন হাই স্কুল মাঠে অায়োজিত ওয়াজাহাতি জোড়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুফতি আব্দুল মালেক বক্তব্যে আরও বলেন মাওলানা সা'দ সাহেব যেমন আগের তিন আকাবিরের তরিকা থেকে সরেছেন৷ তেমন নানান ফিকরি শুযুয তথা চিন্তাগত বিচ্যুতি ও বিচ্ছিন্নতার শিকার হয়েছেন৷ তেমন অনেক বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও জুমহুরের মুত্তাফাকা তথা ঐক্যমতসমর্থিত মাসআলা ও মাযহাবের খেলাফ করেছেন৷ এই বিষয়গুলো পাওয়া গেলে তো এমনিতেই এতা'য়াত জায়েয নেই৷
এই কাজ দ্বীনের কাজ, ঈমানের কাজ৷ তাই দ্বীনি আহকামের অধিনে সবাইকে থাকতে হবে৷ ব্যক্তির আসাবিয়াত ছাড়তে হবে৷
দাওয়াতে তাবলিগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে। যারা আলেমদেরকে দেওবন্দি, হেফাজতি বলছে তারা গোমরাহিতে আছে। হযরতজ্বী ইলিয়াছ রহ. বলতেন, যদি তাবলীগ থেকে ইলম ও জিরিক উঠে যায়, তাহলে দাওয়াতে তাবলিগ গোমরাহ হয়ে যাবে।
উপস্থিত শ্রুতাদেরকে উদ্দেশ্য করে আব্দুল মালেক সাহেব বলেন, সাদ সাহেবের অনুসারীরা বলছেন, মানুষ হিসেবে সাদ সাহেবের কিছু ভুল হতেই পারে।
হ্যাঁ! ভুল তো হতেই পারে। কিন্তু কেউ ভুল করে রোজা অবস্থায় কিছু খেয়ে ফেলা আর ইচ্ছে করে রোজা ভেঙে ফেলা এক কথা নয়। কিছু ভুল মারাত্মক ও ভয়াবহ। এগুলো কখনো মেনে নেয়া যায় না। তেমনি সাদ সাহেবের ভুলগুলো কুরআন-সুন্নাহবিরোধী। এ ভুলগুলোও মেনে নেওয়া যায় না।’
জোড়ে কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা জুবায়ের সাহেব, মাওলানা উমর ফারুক সাহেব ও মুফতি কেফায়াতুল্লা আল আজহারী সহ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম গণ উপস্থিত থেকে গুরুত্যপূর্ন বয়ান পেশ করেন।
জোড়ে মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, ‘মাওলানা সাদ সাহেব যেন অমুসলিমদের কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। অন্যথায় তাকে আরশাদ মাদানি, সাইদ পালনপুরিসহ সারাবিশ্বের উলামায়ে কেরাম বারবার বলার পরও তিনি কেন কারো কোনো কথা শুনছেন না?’
মাওলানা মাহফুজুল হক সাহেব বলেন, ‘সাদ সাহেবের উস্তাদ ইবরাহিম দেওলা বলেছেন, সাদ সাহেব একজন প্রতিক্রিয়াশীল লোক। তিনি কারো কথা মানার মতো লোক না।’
উক্ত ওয়াজাহাতি জোড়ে কিশোরগঞ্জ ইমাম-ওলামা পরিষদের সভাপতি, আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার মহা-পরিচালক আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেনমু ফতি কেফায়াতুল্লা আল আজহারী, কাকরাইল মুরুব্বী বাংলাদেশ আলমি শুরা মাওলানা জুবায়ের, মাওলানা রবিউল হক।
মাওলানা আব্দুল বার, মাওলানা আব্দুল মতিন, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওঃ মাহফুযুল হক, মুফতি আমানুল হকসহ প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন- হুথি বিদ্রোহীদের থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক রমণীর গল্প