মুহাম্মদ সাইদুর রহমান
জামালপুর থেকে
জামালপুর সদরের ইকোনোমিক জোন এলাকায় মাওলানা সা’দ অনুসারী নিজামুদ্দীনপন্থীরা তিনদিনের ইজতেমা আয়োজনের চেষ্টা করছে। এলাকার উলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের মুরব্বিদের আপত্তিদের মুখেও ইজতেমার প্রস্তুতি বন্ধ না করায় গতকাল শহরে গণজমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিল করে ধর্মপ্রাণ জনতা।
এ সময় তারা ইজতেমা বন্ধের দাবিতে ডিসি অফিসে স্মারকলিপিও প্রদান করে।
জানা যায়, ২২ অক্টোবর সকাল নয়টায় জামালপুর শহরের পিটিআই মসজিদের সামনে জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়। গণজমায়েতকে কেন্দ্র করে প্রধান সড়কে বেলা তিনটা পর্যন্ত অবস্থান নেয় তারা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জামালপুরের মাওলানা সাদপন্থী মুরব্বি হাকিম মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে জামালপুর সদরের তিতপল্লা ইউনিয়নের ইকোনোমিক জোন মাঠে আগামী ১ নভেম্বর থেকে তিনদিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ইতোমধ্যে সেখানে ছামিয়ানা টাঙানোসহ যাবতীয় প্রস্তুতি কাজ চলাচ্ছে তারা।
এ নিয়ে জামালপুর মার্কাজ জামে মসজিদ কেন্দ্রিক তাবলিগ জামাতের শুরা কমিটির নেতৃত্বাধীন পরিচালিত জেলার তাবলিগ জামাতের অনুসারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বিতর্কিত এ ইজতেমা বন্ধের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুরা কমিটির উদ্যোগে ২২ অক্টোবর সকাল নয়টায় শহরের পিটিআই জামে মসজিদের সামনে প্রধান সড়কে গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়। এতে সারা জেলা থেকে হাজার হাজার তাবলীগের সাথী অংশ নেন।
গণজমায়েতে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবুল কাশেম, মুফতি আবদুল্লাহ, মুফতি মনিরুল ইসলাম, মাওলানা আমান উল্লাহ কাসেমী, মাওলানা মেরাজুর রহমান, মুফতি শামছুদ্দিন ও হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলাম।
পরে তারা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে বেলা তিনটা পর্যন্ত প্রধান সড়কে অবস্থান নেয়। এতে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় শুরা কমিটির কয়েজন নেতা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কবীর উদ্দীনের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে সা’দপন্থীদের ইজতেমা আয়োজন বন্ধ করার জোর দাবি জানান। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন
প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে শুরা কমিটির নেতারা দিনের কার্যক্রম স্থগিত করেন।
শুরা কমিটির সদস্য মাওলানা আবুল কাশেম আওয়ার ইসলামকে বলেন, দেশের উলামায়ে কেরামের নির্দেশ মাওলানা সাদ কান্ধলভী বিতর্কিত বক্তব্য থেকে ফিরে না আসলে তারা কোথাও নিজেদের কর্মকাণ্ড চালাতে পারবে না।
সারাদেশে কোথাও তারা এ ধরনের ইজতেমা করতে পারছে না। কিন্তু জামালপুরে তাদের ইজতেমা আয়োজনের অনুমতি দেওয়ায় আমাদের অনুসারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ও স্মারকলিপি দিয়ে জামালপুরের ইজতেমা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে ইনশাল্লাহ।
দাওয়াত ও তাবলীগের নীতি ও আদর্শ (১)
-আরআর