আওয়ার ইসলাম: গতকাল সোমবার বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি সেখানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে হওয়া হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়নের গল্প শুনেছেন।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য তিনি মিয়ানমারের সরকারকে জবাবদিহির মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এ অপরাধ বিষয়ে দেশটির সরকার প্রধানে থাকা নোবেলজয়ী নেত্রী আং সান সুচির ভূমিকা নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
যেখানে সারা বিশ্ব থেকে সুচির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে, রোহিঙ্গা নির্যাতনে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিবের নিশ্চুপ থাকা অনেক প্রশ্ন এঁকে যায়।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যখন গুতেরেসকে সরাসরি এই প্রশ্নটি করা হয়েছিল, তখন তিনি এর সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান। আং সান সুচির কোন সমালোচনা না করে গুতেরেস বলেন, মিয়ানমারে আসলে এখনো সেনাবাহিনীই সব কিছুর নিয়ন্ত্রণে।
গতকাল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের যে দুঃখ কষ্ট তিনি দেখেছেন তাতে তার হৃদয় ভেঙে গেছে।
তিনি বলেছেন, ছোট ছোট রোহিঙ্গা শিশুদের দেখে আমার নাতি-নাতনিদের কথা মনে পড়ে গেছে। তাদের অবস্থাও যদি এমন হতো তাহলে কিরকম হতো।
তিনি বলেন, এটা সম্ভবত পরিকল্পিতভাবে মানবাধিকার লংঘনের সবচেয়ে করুণ ঘটনাগুলোর একটি। আমি এর আগে উত্তর রাখাইনে দু’বার গিয়েছি। আমার কোন সন্দেহ নেই যে রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচাইতে বেশি বৈষম্যের শিকার জনগোষ্ঠীগুলোর অন্যতম।
শরণার্থীদের দুর্দশা দেখে জাতিসংঘ মহাসচিব যদিও রীতিমত বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন, তারপরও এই পুরো ঘটনার জন্য মিয়ানমারের নেত্রী আং সান সুচির বিষয়ে চুপ থেকেছেন বিষয়টি বিশ্লেষকদের ভাবাচ্ছে।
রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে যেসব আশ্বাস দিলেন কিম-গুতেরেস
-আরআর