ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার শিশু মাকসুদুল ইসলাম তুহিন (৭) হত্যা মামলায় তার চাচা ও চাচাতো ভাইকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন এই রায় দেন।
১২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রায় আড়াই বছর পর এই রায় দেওয়া হলো। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন নিহত তুহিনের চাচা বিল্লাল হোসেন ও তাঁর ছেলে মাহফুজুল ইসলাম।
একই সঙ্গে লাশ গুমের অপরাধে প্রত্যেককে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাস করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে অপহরণ করার অপরাধে আরো সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে ২০১৫ সালের ৯ মে আড়াইহাজার উপজেলার বগাদি কান্দাপাড়া গ্রামের দন্ত চিকিৎসক নাছির উদ্দিনের ছেলে ব্র্যাক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মাকসুদুল ইসলাম তুহিনকে অপহরণ করে তারই চাচা বিল্লাল হোসেন ও চাচাতো ভাই মাহফুজুল ইসলাম। তুহিন সে সময় বাড়ির পাশে একটি মাঠে খেলছিল।
অপহরণের পর ওই দিনই তুহিনের বাবা এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ১২ মে বিকেলে নরসিংদী থেকে পুলিশ মাহফুজুল ইসলামকে আটক করলে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে নিজ বাড়ির একটি ড্রাম থেকে তুহিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই রায়ের মাধ্যমে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুর রহিম। এ ধরনের রায়ের মাধ্যমে শিশু হত্যাকারীরা প্রতিহত হবে বলেও জানান তিনি।
আদালতের এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত তুহিনের পরিবার ও স্থানীয়রা। তুহিনের হত্যাকারীদের শাস্তির রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তুহিনের বাবা নাছির উদ্দিন। তবে রায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য আবেদন জানান তিনি।
এসএস/