নেত্রকোনায় মাদরাসা সুপারকে মারধর এবং হেফাজতে ইসলামের এক নেতার বাড়িঘরে হামলা ও মারধরের ঘটনায় বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ ওরফে রেনু মিয়াকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক চিকিৎসক মো. আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালীর যৌথ স্বাক্ষরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে অব্যাহতিক প্রদান করা হয়।
অব্যাহতি পাওয়া আবুল কালাম আজাদ সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ছোট গরদী গ্রামের বাসিন্দা।
আর ভুক্তভোগীরা হলেন গরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আবদুল খালেক খান ও মৌগাতী ইউনিয়ন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান।
স্থানীয় বাসিন্দা ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদ গরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি না হতে পেরে গত মঙ্গলবার দুপুরে তিনি তার লোকজন নিয়ে মাদরাসায় সুপারের কক্ষে যান। পরে সুপারকে টেনেহিঁচড়ে কক্ষ থেকে বের করে দেন এবং চাঁদা দাবি করেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন বুধবার দুপুরে মাদরাসা প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা মানববন্ধন করে। সেখানে মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্র ও হেফাজতে ইসলামের নেতা আনিসুর রহমান বক্তব্য দেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় আবুল কালাম ও তার ছেলে লোকজন নিয়ে আনিসুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে মারধরসহ ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এসব ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষই স্থানীয় হাটখলা বাজারে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। এ নিয়ে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনায় জেলা কমিটি পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। আজ রোববার আবুল কালাম আজাদকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এসএকে/