এস এম সাইফুল ইসলাম
বাংলাদেশের পাসপোর্টে 'এক্সেপ্ট ইজরায়েল' শব্দদ্বয় পুনর্বহালের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন। এর আগে ২০২২ সাল থেকে এই দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন ও জনমত গঠনের উদ্যোগ নেওয়া এই সংগঠনটি বলেছে, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পররাষ্ট্রনীতি ও ফিলিস্তিন প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থানের ধারাবাহিকতা বহন করে।
আজ (১৩ এপ্রিল) রবিবার বিকেলে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মুহাইমিনুল হাসান রিয়াদ বলেন, ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সর্বশেষ ২৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করে একটি দাবিপত্র পেশ করা হয়। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার এ সময় দাবির প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে দ্রুত সময়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী সরকার কোনো প্রকার প্রজ্ঞাপন ছাড়াই 'এক্সেপ্ট ইজরায়েল' নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ফলে পুনর্বহালের ক্ষেত্রেও প্রজ্ঞাপন প্রয়োজন হবে না—এমন মত থাকলেও ফাউন্ডেশন প্রজ্ঞাপন জারির দাবি তোলে। এরপর ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে, যদিও প্রচারণা ছিল সীমিত।
মুহাইমিনুল হাসান রিয়াদ বলেন, “পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইজরায়েল’ পুনর্বহালের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জায়নবাদী আগ্রাসন মোকাবেলায় এক ধাপ এগিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। আমরা সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক, প্রশাসন ও সচেতন জনমতকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।”
বিবৃতিতে তিনটি অতিরিক্ত দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে ফাউন্ডেশনটি:
১. হামাসকে সামরিক ও আর্থিক সহযোগিতা প্রেরণের বৈধ পন্থা বের করা এবং বাংলাদেশে হামাসের অফিস চালুর অনুমতি দেওয়া।
২. জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিনের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা।
৩. ইসরায়েলের সঙ্গে অবৈধ বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং সেখানে ভ্রমণকারী বাংলাদেশিদের শাস্তির আওতায় আনা।
এমএইচ/