বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


উসমানী খেলাফত বিতর্ক : আরব-আমিরাত ও তুরস্কের মাঝে উত্তেজনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুজাহিদুল ইসলাম
বিশেষ প্রতিবেদক

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মদিনা মুনাওয়ারা রক্ষায় নিয়োজিত উসমানী খেলাফাতের প্রতিনিধি ফখরুদ্দিন পাশা সম্পর্কে আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কটুক্তিমূলক টুইটের প্রতিবাদে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তুরস্কে আরব আমিরাতের ভারপ্রাপ্ত কূটনীতিক ওলা আলি আল-শামসিকে তলব করেন।

গনমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, আরব আমিরাতের রাষ্টদূত ছুটিতে থাকাতে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রণাল আল-শামসিকে তলব করে আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক ফখরুদ্দিন পাশাকে নিয়ে কটুক্তিমূলক টুইটের ব্যাপারে তাদের অসন্তোষ জানিয়েছে।

সম্প্রতি আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক টুইটে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য ফখরুদ্দীন পাশাকে দায়ী করে এক টুইট করে।এ-টুইট তুরস্কে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে। এমনকি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানকে টুইটকারীর বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায়।

এরদোগান বলেন, যেখানে আমার বাপ-দাদারা মদীনা মুনাওয়ারা রক্ষায় নিয়োজিত ছিল, তখন আমাদেরকে লক্ষ্য করে অভিযোগ দায়েরকারী হে আশাহত! (আমিরাতের পররাষ্টমন্ত্রীকে ইঙ্গিত) তোমার পিতৃপুরুষ তখন কোথায় ছিল?

তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘মুসলিমরা যখন সহিংস আক্রমণের শিকার, তখন যারা বিশ্বাসঘাতকদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে, তারা ফাহরেদ্দিন পাশাকে টার্গেট করবে- এতে আশ্চর্যের কিছু নেই।’ নিজেদের অজ্ঞতা ও অযোগ্যতা ঢাকতে কিছু আরব নেতা তুরস্কের প্রতি বৈরী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এছাড়াও, ভারপ্রাপ্ত আমিরাতি রাষ্ট্রদূত হাওলা আলি আল-শামসির উপর এই মন্তব্য করার দায়ে সমন জারি করেছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

টুইটারে ওই পোস্টটি ছিল মদিনায় উসমানীয় গভর্নর ফাহরেদ্দিন পাশা সম্পর্কে, যিনি ১৯১৬-১৯১৯ সাল পর্যন্ত গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেছেন। পোস্টে বলা হয়েছে, দায়িত্ব পালনকালে পাশা স্থানীয়দের ওপর নিপীড়ন করেছেন এবং সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন।

 উল্লেখ্য, ফখরুদ্দীন পাশা যিনি ইংরেজদের কাছে" মরুচারী তুর্কি টাইগার "নামে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সাত বছর একাধারে মদীনা মুনাওয়ারার জন্য লড়াই করে গিয়েছেন।

ইস্তাম্বুল থেকে আসা অনবরত নির্দেশনা ও ইংল্যান্ড কর্তৃক মদীনা মুনাওয়ারা হস্তান্তরের অব্যাহত চাপ সত্ত্বেও মদীনা মুনাওয়ারা রক্ষায় তিনি সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন এবং এক পর্যায়ে তিনি যুদ্ধবন্দী হিসেবে আটক হন।

পরবর্তীতে আনকারা সরকারের প্রচেষ্টায় তিন বছর পর মুক্তি পেয়ে আফগানিস্তানে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান।

সূত্র: তুর্কপ্রেস, হাফিংটন পোষ্ট


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ