রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে পরাজয়ের মুখে রয়েছে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে জাতীয় প্রার্টির লঙ্গলের বিজয় সুনিশ্চিত।
দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেও এই দুই দলের প্রার্থীরা শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে যাচ্ছেন আলোচিত এই নির্বাচনে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে অনুষ্ঠিত হয় রসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বিকাল ৪টার সময় ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয় ভোট গণনা। এরই মধ্যে ১৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থানীয় সূত্রে ১১৫টি কেন্দ্রের ফলাফলে অবিস্মরণীয় জয়ের পথে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
এই ১১৫ কেন্দ্রে তার প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৮ হাজার ৬২৬। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শরফ উদ্দিন আহমদ ঝন্টু পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৭৪৬ ভোট। আর বিএনপি প্রার্থী পেয়েছেন ২০ হাজার ১২৩ ভোট। ফলে স্পষ্টতই রংপুর সিটির নতুন নগরপিতা হতে যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির মোস্তফা।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মস্থান রংপুর আগাগোড়াই লাঙলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হওয়ায় আগে থেকেই এই ফল অনুমতি বলেও ধারণা করছিলেন বিশ্লেষকরা। চূড়ান্ত ফল ঘোষণার অনেক বাকি থাকলেও তাই ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কিছু সময় পরেই প্রকারান্তরে পরাজয় মেনে নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলের এক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রংপুরে আমরা হারলেও গণতন্ত্রের বিজয় হবে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারে, তা রেকর্ড বুকে স্থান করে নেবে।’ এই নির্বাচনকে বিএনপির জন্য একটি বার্তা বলেও মনে করছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক।
তবে আওয়ামীলের পক্ষে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ব্রিফ করলেও নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার বক্তব্য বা বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, রসিক নির্বাচনের বিষয়ে শুক্রবার তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে বিএনপি। তবে দলের মেয়র প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা রাত ৯টার দিকে রংপুরের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করার ঘোষণা দেন।
এসএস/