বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


২০০৮ হারিয়েছিলেন পা, এবার জীবন উৎসর্গ করলেন ফিলিস্তিনি বীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুজাহিদুল ইসলাম
বিশেষ প্রতিবেদক

স্বদেশ ও স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন করায় এক দশক আগে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতায় পা হারান ইবরাহিম আবু তুরায়াহ। এবার আল কুদসে মুসলমানের অধিকারের জন্য জীবন উৎসর্গ করলেন তিনি।

গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুসালেম ঘোষণার প্রতিবাদ করার সময় গাজা সীমান্তে ইসরাইলি বাহিনী শহীদ করে তাকে। এ সময় শহীদ হন আরও ৩ ফিলিস্তিনি।

আবু তুরায়াহ ২০০৮ সালে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে পা হারান। কিন্তু তারপরও দমে যান নি তিনি। হুইল চেয়ারে চালিয়েই আন্দোলন সংগ্রামে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন।


আত্মরক্ষার চেষ্টা করছেন আবু তুরায়াহ

২০০৮ সালে গাজা বর্ডারে ইসরাইলি পতাকা নামিয়ে ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলনের সময় তাকে গুলি করে ইসরাইলি বাহিনী। এতে পা হারায় তিনি।

গতকাল প্রতিবাদে অংশ নিষেধ করেছিলো তার বন্ধুরা। কারণ ইসরাইলি বাহিনী বেশ আগ্রাসী এখন। কিন্তু সব নিষেধ অমান্য করে আবু তুরায়াহ। তিনি বলেন, আমি সেখানে যেতে চাই। আমি সেখানে যাবো।’ মাথায় ফিলিস্তিনের পতাকা বেঁধে হুহাইল চেয়ার নিয়ে হাজির হন। আর স্বাধীন ফিলিস্তিনের পাতাকা বাঁধা তার মাথায় গুলি করে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল।


প্রতিবাদের শুরুতে আবু তুরায়াহ

২৯ বছর বয়সী আবু তুরায়াহ ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন অবিবাহিত। তিনি গাজায় পিতা-মাতার সঙ্গে থাকতেন। ইসরাইলি আগ্রাসানে দুই পা হারানো এ যুবক মাছ শিকার করেই জীবনযাপন করছিল। কিন্তু দুই পা হারানো এ যুবক কঠিন অর্থনৈতিক টান-পোড়নে রাস্তায় থাকা গাড়ী পরিচ্ছন্নতার কাজে নেমে আসে।

ইবরাহিম আবু তুরায়াহ-এর মৃত্যুতে ফিলিস্তিনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একজন তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘মনে হয় দখলদার আজ প্রতিজ্ঞা করেছে, এ-অর্ধ যুবককে পূর্ণাঙ্গ মৃত্যুদণ্ড দিয়ে তাদের দায় ও পূর্ব-ভূল সংশোধনের সময় এসেছে। তাই সরাসরি তার মাথায় গুলি করে।যাদের ব্যাপারে বলা হয়েছে, ‘কিছু মুমিন তাদের রবের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে, কতক অপেক্ষা করছে ...।’

সূত্র : আল আরাবিয়া ও ডেইলি সাবাহ


সম্পর্কিত খবর