মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানকে মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরের আটকের পর কি ধরনের আচরণ করা হয়েছে তার বর্ণনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাকে একটি কক্ষে আটক করে রাখা হয়েছিল, যেখানে ৬০ জনের বেশি ছিলেন। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি বাংলাদেশি। তাদের অনেকে বেশ খারাপ অবস্থায় আছেন।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে ‘অধিকার’ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আদিলুর রহমান খান এ কথা বলেন।
তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের আটকের পর যে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয় সেগুলো বেসরকারি। সেখানে শুধু পানি বিনামূল্যে পাওয়া যায়। টাকা থাকলেই খাবার কিনে খাওয়া যায়। সেখানে অনেক বাংলাদেশি শুধু পানি খেয়ে বেঁচে আছেন।
এ বিষয়ে অধিকারের সভাপতি সি আর আবরার বলেন, “বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব বাংলাদেশির ব্যাপারে কিছু জানে কিনা বা উদ্যোগ নিয়েছে কিনা, তা জানা প্রয়োজন।”
আদিলুর রহমান জানান, বিমানবন্দরে আটক থাকার সময় কয়েকজনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তাদের একজন মো. ইমরান হোসেন প্রফেশনাল ভিসা নিয়ে ছয়দিন ধরে আটকা আছেন।
আদিলুর রহমান খান আরো জানান, তাকে ফেরত পাঠানোর সময় তার সঙ্গে বাংলাদেশি এক নারীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ওই নারীর স্বামী ১১ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় কাজ করেন। তিন মাসের ভিসা নিয়ে তিনি স্বামীর কাছে যাচ্ছিলেন। কোনো কারণ না দেখিয়েই তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
আদিলুর রহমান খান বৃহস্পতিবার ভোরে মালয়েশিয়ায় যান। একটি মানবাধিকার সংগঠনের সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিলেন। কিন্তু কুয়ালালামপুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নামার পর তাকে ওই দেশে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে জানান, মালয়েশিয়ার মানবাধিকার কমিশন বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তাই এ ব্যাপারে তিনি এখন কিছু বলতে চান না।
দিনভর আটকে রেখে আদিলুরকে বাংলাদেশে ফেরত