আওয়ার ইসলাম : এ বছর শিল্পকলা একাডেমি পদক পাচ্ছেন দেশের ৭ সংস্কৃতিকর্মী। মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
এ বছর যন্ত্রসংগীতে পবিত্র মোহন দে, নৃত্যকলায় মো. গোলাম মোস্তফা খান, আলোকচিত্রে গোলাম মুস্তাফা, চারুকলায় কালিদাস কর্মকার, লোকসংস্কৃতিতে সিরাজউদ্দিন খান পাঠান, নাট্যকলায় অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদ এবং কণ্ঠসংগীতে মিতা হক পুরস্কার পাচ্ছেন।
নির্বাচিত গুণীজনদের প্রত্যেককে স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকা ও সনদপত্র প্রদান করা হবে। আজ ২০ জুলাই বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী জানান, ২০১৩ সাল থেকে শিল্পকলা পদক প্রদান করা হচ্ছে। এটি একটি জাতীয় কার্যক্রম। দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজন এবং তাদের কর্মকে চিহ্নিত করে সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা ও বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শিল্পকলা পদক প্রদান নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক ‘শিল্পকলা পদক’ প্রদান করা হয়ে থাকে।
নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, একাডেমির সচিব, একাডেমির ৬ জন পরিচালক, ৭ জন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১ জন প্রতিনিধি (যুগ্ম- সচিব পদমর্যাদার নীচে নয়) সমন্বয়ে সর্বমোট ১৬ সদস্যের কমিটি প্রতি বছর পদক প্রদানের ক্ষেত্রে এবং পদকের জন্য গুণীজন নির্বাচন করে থাকেন।
‘শিল্পকলা পদক’-এর জন্য নির্বাচিত গুণীজনদের প্রত্যেককে একটি স্মর্ণপদক, ১ লাখ টাকা সম্মানী ও একটি সনদ প্রদান করা হয়। পদক প্রদানের জন্য দশটি বিষয় রয়েছে। এগুলো হচ্ছে কণ্ঠসংগীত, যন্ত্রসংগীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলা, চারুকলা, আবৃত্তি, আলোকচিত্র, যাত্রাশিল্প, চলচ্চিত্র ও লোকসংস্কৃতি। আগামী বছর থেকে এর সঙ্গে সাংস্কৃতিক গবেষণা ও সৃজনশীল সংগঠক বিষয় দুটি যুক্ত হবে বলেও জানান তিনি।
-এজেড