ঈদুল আজহার দিনে রাস্তার ওপরে পশু কুরবানি না করে সিটি করপোরেশনের নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইয়ের জন্য জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেছেন, কোনও কারণে নির্দিষ্ট স্থানে যেতে কারও সমস্যা হলে নিজ বাড়ির পরিত্যক্ত জায়গা অথবা আঙ্গিনায় তা করতে হবে। আজ বুধবার বিকালে স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহার জামাত, কোরবানির পশুর হাট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি সম্পর্কিত এক সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
এসময় ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক, দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আজম নাছির, নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, ওয়াসার এমডি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মেয়ররা অভিযোগ করেন, কয়েক বছর ধরে অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও ঈদুল আজহার দিনে রাস্তার ওপরে পশু কোরবানি থামানো যাচ্ছে না। এতে সড়কগুলো বর্জ্যে ভরে যাচ্ছে এবং সিটি করপোরেশনগুলোর চেষ্টা সত্ত্বেও সময়মতো সব বর্জ্য সরানো যাচ্ছে না। ফলে নগরবাসীকে দুর্গন্ধময় পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে মেয়রদের পক্ষ থেকে ঈদের দিনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সুপারিশ করা হয় সভায়। কিন্তু এ প্রস্তাবে সবাই একমত হননি।
সভায় উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (জেআইইউ) মাহমুদা খানম উৎসবের দিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা না করার পক্ষে মত দেন। তিনি যুক্তি দেন, ওইদিন রাস্তায় যারা কোরবানি দেবেন তাদের অনেকের হাতে ধারালো অস্ত্র থাকবে। এ সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এ কথায় একমত হয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, উৎসবের দিন আনন্দকে ম্লান করবে এমন কোনও আইনি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে না।
এই ৬ ফলই যথেষ্ট অতিরিক্ত মেদ কমাতে
আরআর