আওয়ার ইসলাম : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এক মা তার ছয় মাসের শিশু কন্যাকে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসে। কিন্তু কথায় আছে রাখে আল্লাহ মারে কে? তিন দিন পর সেই কন্যা আবার উপস্থিত বাড়িতে।
শিশুটির মা বলেন, দ্বিতীয়বার মেয়ে হওয়ার পর থেকেই মন খারাপ মায়ের। তার ওপর অসুস্থ ছিল শিশুটি। পায়ে টিউমার, যা থেকে খারাপ কিছু হতে পারে, এমন আশঙ্কা ছিল চিকিৎসকদের।
এমন অবস্থায় গত ১০ জুলাই হাসপাতাল থেকে বন্ড দিয়ে শিশুটিকে ছাড়িয়ে নেন মা। পরে সুযোগ বুঝে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে ফেলে আসেন। শ্বশুরবাড়ি ফিরে এসে সবাইকে বলেন, মেয়ে মারা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে। বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ থেকে মেয়েকে নিয়েই ওন্দার আমড়াতলা শাল জঙ্গলে ফেলে আসেন মা। তবে কপালজোরে বেঁচে যায় সাত মাসের শিশুটি। জঙ্গলে ফেলে আসার দুদিন পর ভোরে তাকে উদ্ধার করেন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার কিছু নারী। জঙ্গলের জন্তুজানোয়ারেরা তাকে আঁচড় দিলেও সে বেঁচে ছিল। তাকে আবার নিয়ে আসা হয় বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে। চিকিৎসক ও জেলার প্রশাসনের চেষ্টায় খুঁজে বের করা হয় তার বাবা-মাকে।
সন্তান কন্যা হওয়ায় পুকুরে ছুড়ে হত্যা করলো পাষণ্ড পিতা
বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান এবং অর্থোপেডিকস বিভাগীয় প্রধান রণদেব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মা মন থেকে শিশুটিকে মেনে নিতে পারছেন না। তাকে দুধও খাওয়াচ্ছেন না। ওই মাকে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে।
মনোবিদ নীলাঞ্জনা সান্যাল বলছেন, ‘এ ক্ষেত্রে মাতৃত্বের থেকে বড় হয়ে উঠেছিল মাতৃত্বের মাধ্যমে নিজের প্রাধান্য, গুরুত্ব ও প্রতিপত্তি স্থাপন করা, যা তিনি ছেলের মা হয়ে করতে চেয়েছিলেন। বাকি সব তাঁর কাছে গৌণ ছিল।’
সূত্র : আনন্দ বাজার
-এআরকে