আওয়ার ইসলাম : রাজনীতিতে গুনগত ও আদশিক পরিবর্তন প্রয়োজন। গতানুগতিক রাজনীতির ফলে জাতিকে শোষণ-ব নার শিকার হতে হচ্ছে। সন্ত্রাস-দুর্নীতি দেশে মহামারী আকার ধারণ করেছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ দলীয় নেতাকর্মীরা লুটেপুটে খায়। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না । পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্য তিনি একথা বলেন ।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। ৫ জানুয়ারীর মত নির্বাচন দেশবাসী চায় না।
রবিার সকাল ১০টা থেকে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিলল্লাহ আল-মাদানী ও মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল ও মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাদের, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, শায়খুল হাদীস মকবুল হোসাইন, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, এ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ, এ্যাডভোকেট একেএম এরফান খান, আলহাজ্ব কে.জি মওলা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও প্রতিবাদের পর শেষ পর্যন্ত সরকারের নীতি নির্ধারকগণ যে বিষয়টির গুরুত্ব ও নাজুকতা উপলব্ধি করতে পেরে পাঠ্যসূচী সংশোধন করেছিলেন। কিন্তু ইদানিং ইসলামবিরোধী নাস্তিক্যবাদী শক্তিগুলো সিলেবাস নিয়ে নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছে। সিলেবাস পূন: পরিবর্তনে বামপন্থি, নাস্তিক-মুরতাদদের চক্রান্ত সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, জাতিকে ইসলামশূন্য করার নাস্তিক্যবাদী চক্রান্ত দেশের ঈমানদার জনতা পূর্বের ন্যায় রক্ত দিয়ে প্রতিহত করবে এবং রাজপথে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, গো রক্ষার নামে ভারতে মুসলিম হত্যা বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারকে ভারতে মুসলিম হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক মূতিসহ রাস্তার মোড়ে মোড়ে সকল মূর্তি অপসারণের দাবিতে দেশবাসী সোচ্চার ভুমিকা পালন করলেও সরকার জনগণের দাবির প্রতি কর্ণপাত করছে না। মূর্তি অপসারণ না করলে দেশবাসী আগামীতে মূর্তিপ্রেমী কোন সরকারকে ক্ষমতায় আসতে দিবে না।
পীর সাহেব চরমোনাই দ্রব্যমূল্যের নাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানান।
-এজেড