আওয়ার ইসলাম : ঢাকা মহানগরেও চিকনগুনিয়া বর্তমানে এক আতঙ্কের নাম। যা এখন মহামারি রূপ ধারণ করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, এর জন্য মেয়রদ্বয় দায়ী। তার বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন যে ঢাকা সিটির নাগরিকদের ব্যাপারে কি স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের কোন দায়বদ্ধতা নেই? আর অপরদিকে মেয়রদ্বয় এই দায়বদ্ধতা নিতে অস্বীকার করেছেন।
১৫ জুলাই ২০১৭ শনিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, উত্তরের মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, বাসা-বাড়িতে গিয়ে মশা মারা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয়। অথচ কীট তত্বাবীদরা বলেছেন, জলাবদ্ধ জায়গাতেই এডিস মশা জন্মায় এবং চিকনগুনিয়া ছড়ায়।
আমরা আনিসুল হক সাহেবকে বলতে চাই; আপনার বাসা-বাড়িতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। রাস্তা-ঘাটে, জলাশয়সহ যেসব জলাবদ্ধ পরিত্যাক্ত জায়গায় মশা জন্মায় সেগুলো নিধণ করুন। আবার দক্ষিণের মেয়র সাইদ খোকন বলেছেন চিকনগুনিয়া মহামারী আকার ধারন করে নাই। মাননীয় মেয়রদ্বয় আপনাদের পক্ষেই নগরবাসীর সাথে উপহাস করা সম্ভব কারণ আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি, ভোট ডাকাতি আর কেন্দ্র দখল করে মেয়র হয়েছেন। তাই আপনাদের পক্ষেই এমন দায়িত্বহীন ও কান্ডজ্ঞান বহির্ভূত বাক্য শোভা পায়।
নগরবাসীর ট্যক্সেও টাকা দিয়ে বেতন ভাতা ভোগ করেছেন আর তাদেরকে রোগাক্রান্ত রেখে উপহাস করবেন এই অধিকার আপনাদের নেই। আপনাদের দায়িত্বই হল নগরের উন্নয়ন ও যাবতীয় নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতকরন। অথচ এই বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় জনগণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
ঐতিহ্যবাহী ঢাকা সিটি ময়লার ভাঘাড়ে পরিনত হয়েছে। আল্লাহর ওয়াস্তে এগুলো দেখেও না-দেখার ভান করবেন না।
নেতৃদ্বয় হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আরো বলেন, মেয়রদ্বয়ের এসব উল্টা-পাল্টা বক্তব্য দিয়ে তাদের দায় এড়াতে পারবেন না। মানুষের সাথে উপহাস না করে দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে দ্রæত ব্যবস্থা নিন এবং অবিলম্বে দুর্নীতি বন্ধ করে রাজধানীর জলাবদ্ধতা দূরীকরন ও চিকনগুনিয়া প্রতিকারের কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
এছাড়া আগামী ১৯ জুলাই বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতৃত্বে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও কর্মসূচী বাস্তবায়নে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।
-এজেড