আওয়ার ইসলাম : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের বিবরণ তুলে ধরে বলেছেন, আওয়ামী নেতারা উপহাস করছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির কাছে গুম ও নিখোঁজদের তালিকা চেয়েছেন। গুম হওয়া মানুষের স্বজনদের বেদনার্ত কান্নার আওয়াজ তাদের কানে প্রবেশ করে না। পিতার অপেক্ষায় তার সন্তান, স্বামীর অপেক্ষায় স্ত্রী, সন্তানের অপেক্ষায় মা-বাবা। এ অপেক্ষার যেন শেষ নেই। শুধু গুম আর অপহরণই নয়,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনে লাখ লাখ মানুষ এখন কাঁদছে। আওয়ামী নেতারা এসব মানুষের কান্না নিয়ে উপহাস করছেন।’
মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সারা দেশের গুম খুনের চিত্র তুলে ধরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গুম হওয়া নেতাকর্মীদের একটি সংক্ষপ্তি তালিকা তুলে ধরে রিজভী আরও বলেন, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনা ও তার সন্তানরা এখনও ইলিয়াস আলীর অপেক্ষায় আছেন। সাবেক কমিশনার চৌধুরী আলম,সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হীরু, হুমায়ুন কবির পারভেজ,তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদল সভাপতি আমিনুল ইসলাম জাকির,তেজগাঁও থানা বিএনপি নেতা সাজেদুল হক সুমন,সাজেদুলের খালাতো ভাই জাহিদুল করিম (তানভীর),পূর্ব নাখালপাড়ার আবদুল কাদের ভূঁইয়া (মাসুম),পশ্চিম নাখালপাড়ার মাজহারুল ইসলাম (রাসেল), মুগদাপাড়ার আসাদুজ্জামান (রানা), উত্তর বাড্ডার আল আমিন, বিমানবন্দর থানা ছাত্রদল নেতা এ এম আদনান চৌধুরী ও কাওসার আহমেদ,সবুজবাগ থানা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাবুব হাসান, খালিদ হাসান (সোহেল) ও সম্রাট মোল্লা,জহিরুল ইসলাম (হাবিবুর বাশার জহির),পারভেজ হোসেন, মো. সোহেল, নিজাম উদ্দিন (মুন্না) ও তরিকুল ইসলাম (ঝন্টু), কাজি ফরহাদ, সেলিম রেজাকে (পিন্টু), ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন কুসুমসহ অনেকের হতভাগ্য পরিবার তাদের স্বজনদের অপেক্ষায় আছে।
কাশ্মীরে তীর্থযাত্রীদের উপর হামলায় প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা
তিনি বলেন, বিমানবন্দর থানা ছাত্রদলের সভাপতি গুম হওয়া এম এ আদনান চৌধুরীর বাবা রুহুল আমিন ছেলের অপেক্ষোয় চোখের পানি ফেলতে ফেলতে অসুস্থ হয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। এদের রোদনভরা অপেক্ষার খবরে তো ওবায়দুল কাদেরের চোখের পানি ঝরবে না।
গুম হওয়া মানুষগুলোর বেশির ভাগই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত দাবি করে রিজভী বলেন, ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের কেবলমাত্র ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে কমপক্ষে ৫০ জনকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।