ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ছয় নারীসহ অন্তত সাত তীর্থযাত্রী নিহত নিয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো প্রায় ১২জন।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী তরুণ বুরহান ওয়ানি’র মৃত্যুবার্ষিকীকে ঘিরে গত কিছুদিন ধরেই উপত্যকাজুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সোমবার রাতে বাসে করে অমরনাথ মন্দির থেকে ফেরার সময় দক্ষিণাঞ্চলীয় অনন্তনাগ জেলায় সংঘর্ষের কবলে পড়েন গুজরাটের ওই তীর্থযাত্রীরা। কাশ্মিরের পুলিশ প্রধান মুনীর খান বলেন, ‘একদল সন্ত্রাসী ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে টহল পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় তীর্থযাত্রীদের বাসটি দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায়।’তীর্থযাত্রীদের গাড়িটি সন্ধ্যা ৭টার পর মহাসড়কে বাস চলাচলের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেছিল। ।
এ ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘কাপুরুষ হামলাকারীদের কাছে ভারত নতি স্বীকার করবে না।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ জুলাই বন্দুকযুদ্ধের নামে বুরহান ওয়ানিকে হত্যা করে ভারতীয় সেনারা। ওই হত্যকাণ্ডের পর কাশ্মিরের জনগণ প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে। এ হত্যাকাণ্ডের জেরে এ পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ প্রায় ১০০ জন নিহত ও ১২ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
সম্প্রতি ৮ জুলাইকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরে নতুন করে বিক্ষোভ দানা বাঁধে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপত্যকায় কারফিউ জারি করা হয়। সর্বশেষ সোমবার রাতে পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য গর্ডিয়ান।
এসএস/