আওয়ার ইসলাম: আধুনিক বিশ্বে নারী জাগরণের এই সময়েও এমন ধর্মীয় উপাসনালয় আছে যেখানে নারীর প্রবেশ নিষেধ। পশ্চিমারা যেখা নে নারী অধিকারের নামে নারীদের রাস্তায় নামিয়ে এনেছে সেখানে তাদেরেই নাকের ডগায় এমন পুরনো কুসংস্কার ভাবিয়ে তুলছে বোদ্ধা মহলকে।
ওকিনোশিমা দ্বীপ জাপানের প্রাচীন একটি ধর্মীয় স্থান। দ্বীপটিকে জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেসকো একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি দিয়েছে।
ওকিনোশিমা দ্বীপে রয়েছে ওকিতসু উপাসনালয়। যেটি নির্মিত হয়েছিল সপ্তদশ শতকে সমুদ্রে নাবিকদের সুরক্ষায় প্রার্থনার জন্য।
[caption id="" align="alignnone" width="660"] ওকিনোশিমা দ্বীপ, প্রতি বছর মাত্র ২০০জন দর্শনার্থী ওই দ্বীপে যেতে পারেন।[/caption]
জাপানের এই ধর্মীয় উপাসনা দ্বীপে মহিলাদের যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।পুরুষদের যাওয়ার ব্যাপারেও রয়েছে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা। ওই দ্বীপে পা রাখার আগে পুরুষদের জামাকাপড় খুলে রাখতে হয়, বিশেষ পদ্ধতিতে নিজেদের শুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন করে নিতে হয়।
দ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার সময় সেখান থেকে তাদের কোনও স্মারক বা স্মৃতি নিয়ে যাওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয় না। এমন কী ওই দ্বীপে যাওয়ার পর কী ঘটেছে, সেটাও তারা অন্য কাউকে বলতে পারেন না।
তবে 'জাপান টাইমস' পত্রিকা বলছে, উপাসনালয়টি নির্মাণের অনেক আগে থেকেই সমুদ্রগামী জাহাজের নিরাপত্তার জন্য ও কোরিয়া ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য সেখানে প্রার্থনা করার চল ছিল।
বিদেশ থেকে আনা হাজার হাজার শিল্পসামগ্রীও পাওয়া গেছে ওই দ্বীপ থেকে। কোরিয়া উপদ্বীপ থেকে আনা বহু সোনার আংটিও তার মধ্যে ছিল।
দর্শনার্থীরা বছরের মাত্র এক দিনই ওই দ্বীপে যেতে পারেন। প্রতিবছর ২৭ মে একদিনের জন্য প্রবেশ করতে পারেন ওকিনোশিমা এবং উপাসনালয়ে। তাও আবার দর্শনার্থী সংখ্যা ২০০ ছাড়াতে পারবে না, এবং পুরনো সব রীতিনীতি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হয়।
এসএস/