আওয়ার ইসলাম : ফেসবুকে ভুয়া ও চাঞ্চল্যকর লিংক ছড়ানো ঠেকাতে নিউজফিডের অ্যালগরিদমে পরিবর্তন নিয়ে আসছে। সম্প্রতি ২০০ কোটি ব্যবহারকারী ছাড়ানো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মটি দীর্ঘদিন ধরেই স্প্যামের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। তবে সর্বশেষ মার্কিন নির্বাচনে ভুয়া খবর ছড়ানো ও জনমতে প্রভাব বিস্তারের ফলে এই লড়াই জোরদার করেছে তারা।
ফেসবুক নিউজফিডের অ্যালগরিদমের ভিত্তিতে ঠিকহয় ব্যবহারকারীরা বন্ধু, বিজ্ঞাপনদাতা ও অন্যান্য উৎসের পোস্টগুলো দেখবে। ফেসবুক জানিয়েছে, অ্যালগরিদমে নতুন এই পরিবর্তনের ফলে ‘একটি ছোট গোষ্ঠীর’ প্রভাব কমে যাবে যারা প্রতিদিন নিম্নমানেরপাবলিক পোস্ট প্রদান করে। যারা দিনে ৫০টির বেশি পোস্ট দেয় তারাই এই শ্রেণীতে পড়ে যার মোট ব্যবহারকারীর মাত্র ০.১ শতাংশ। অ্যালগরিদমের পরিবর্তনে শুধু মাত্র অতিরিক্ত লিংক শেয়ারই নিউজফিড থেকে সরে যাবে, ছবি কিংবা অন্যান্য পোস্টে নিউজফিড থেকে সরানো হবে না।ফেসবুক নিউজফিডের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডাম মোসেরিএকটি ব্লগপোস্টে বলেন, আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে ক্ষুদ্রসংখ্যক মানুষ যারা দিনে অসংখ্য লিংক শেয়ার করেন তারা কার্যকরভাবে নিউজফিডে স্প্যামিং করছেন।
গত নভেম্বরের ৮ তারিখের মার্কিন নির্বাচনের আগে ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ভুয়া সংবাদ ছড়ায়। অনেক খবরে বলাহয়, ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন, আরেক খবরে বলা হয়, ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে থাকা একজন ফেডারেল এজেন্টকে মৃত পাওয়া গেছে। এসব খবর ব্যাপকভাবে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে ছড়িয়েছে, এবং ভুয়া সংবাদের ভিত্তিতে জনমতে প্রভাব ফেলেছে যা অনেকেই মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত বিতর্কিত ব্যক্তির নির্বাচিত হওয়ার প্রধান কারণ।তবে নতুন এই পরিবর্তনের প্রভাবটা খুব সামান্য হবে বলে মনে করেন সাইরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অধ্যাপক জেনিফার গ্রিজিয়েল। সোশ্যাল মিডিয়া মনিটর করা এই অধ্যাপক বলেন, ফেসবুকের আরো বেশি কনটেন্ট মডারেটর নিয়োগ দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, যোগাযোগ প্লাটফর্মে আগে অনেক বেশি মানুষ নিয়োগ করা হত। কিন্তু এখন আমাদের এটা বোঝানো হচ্ছে যে প্রযুক্তিই সব সমাধান করে দিবে।গত মে মাসে ফেসবুক ঘোষণা করে যে তাদের পরিবর্তনে ভুয়া ও বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন প্রদানকারী পেজগুলোকে নিউজফিডে কম প্রাধান্য দেয়া হবে।
-এজেড