আওয়ার ইসলাম : বিতর্ক যেনো পিছু ছাড়ছে না ভারতীয় পাঠ্যপুস্তকের। যিশু খ্রিস্ট, নারী দেহ ও মাংসাশাসীর পর এবার মসজিদ নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতের ষষ্ঠ শ্রেণীর জন্য কিছু স্কুলে সুপারিশকৃত বিজ্ঞান বইয়ে মসজিদকে শব্দদূষণকারী হিসেবে প্রদর্শিত করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশনের (আইসিএসই) তত্ত্বাবধানে থাকা নির্দিষ্ট কিছু স্কুলের জন্য প্রণিত পাঠ্যবইটিতে এক চিত্রে রেলগাড়ি, গাড়ি, বিমানের পাশাপাশি মসজিদকে শব্দদূষণকারী হিসেবে দেখানো হয়, ছবিতে দেখা যায় একজন ব্যক্তি শব্দে মুখ বিকৃত করে কান ঢেকে বসে আছে।
আইসিএসই জানিয়েছে, তারা এই বইটি প্রকাশ কিংবা সুপারিশ করেনি, যেসব স্কুলগুলো বইটি সুপারিশ করেছে এটা তাদের বিষয়। কাউন্সিল ফর ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামিনেশনের প্রধান নির্বাহী ও সচিব গেরি আরাথুন বলেন, যদি কোনো বইয়ে আপত্তিকর বিষয় কোনো নির্দিষ্ট স্কুলে পড়ানো হয় তাহলে সেটার দায় সেই স্কুল ও বইটির প্রকাশকের সেটি দেখতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বইটি প্রত্যাহারে অনলাইন পিটিশন হওয়ার পরে বইটির প্রকাশনা সংস্থা সেলিনা পাবলিশার্সের হেমন্ত গুপ্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি এটাও নিশ্চিত করেছেন পরবর্তী সংস্করণে এই ভুল সংশোধন করা হবে। তিনি বলেন, আমরা যদি কারো অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকি তাহলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
কিছুদিন আগে সংগীত শিল্পী সনু নিগম মসজিদে আজানে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা নিয়ে সমালোচনা করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন। সম্প্রতি ভারতের বেশ কয়েকটি পাঠ্যবইয়ের বিষয় বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
গত মাসে দেখা যায় ভারতের নবম শ্রেণীর একটি হিন্দি পাঠ্যবইয়ে যিশুখ্রিস্টকে ‘শয়তান’ অভিহিত করা হয়।
গত এপ্রিলে দ্বাদশ শ্রেণীর শারীরিক শিক্ষার পাঠ্যবইয়ে নারীদের শারীরিক গড়ন ৩৬-২৪-৩৬ আদর্শ বলে উল্লেখ করা হয়।
চতুর্থ শ্রেণীর পরিবেশ শিক্ষার একটি অধ্যায়ে নিঃশ্বাসের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে একটি ব্যবহারিক উদাহরণ দেয়া হয় কিভাবে একজন শিশু দমবন্ধ করে বিড়াল হত্যা করতে পারবে।
আরেকটি বইয়ে বলা হয়, মাংসখেকোরা প্রতারক হয়, মিথ্যা কথা বলে ও যৌন অপরাধ করে।
সূত্র : এনডিটিভি