জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অর্থের উৎস সম্পর্কিত অংশ পুনঃতদন্তের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন আপিল বিভাগও খারিজ করে দিয়েছেন।
রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদেশে কিছু পর্যবেক্ষণও দেয়া হয়।
এর আগে হাই কোর্ট খালেদার এ সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদিন এবং মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
খালেদার আইনজীবীরা বলেন, মামলায় যে অর্থ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে তা সৌদি আরব থেকে জিয়া এনেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু তাদের নথি অনুযায়ী ওই টাকা এসেছে কুয়েত থেকে। মামলার এ অংশটিরই পুনঃতদন্ত চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া।
গত ২ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়া বিষয়টি নিয়ে পুনতদন্ত চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা খারিজ করে দেন। পরে হাই কোর্টে গেলে ৯ মার্চ সেখানেও আবেদনটি খারিজ হয়ে যায়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
খালেদা ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীল কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
খালেদা জিয়া, সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ এ মামলায় জামিনে রয়েছেন। কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন এই মামলাটি আত্মপক্ষ সমর্থন পর্যায়ে রয়েছে। একই আদালতে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাও বিচারাধীন।