খালিদ হাসান, ঝিনাইদহ থেকে ॥ ডিবি পুলিশ পরিচযয়ে সাদা পোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যাওযার পর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ষাটবাড়িয়া মসজিদের ঈমাম আব্দুল হাই (৩৫) পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া সদর উপজেলার চাপড়ী গ্রামের হাসান আলী নামের দশম শ্রেণির এক ছাত্র বিগত এক বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছে। তিনি কালীগঞ্জের মালিয়াট ইউনিয়নের ষাটবাড়িয়া গ্রামের আশরাফুল আলম মুহুরীর ছেলে।
প্রতিবেশীরা জানান, গত ১৩ জুলাই আব্দুল হাই দুপুরে নিজ বাড়িতে বসে ছিলেন। বেলা ১টার দিকে ষাটবাড়িয়া গ্রামে দুটি মোটরসাইকেলে করে সাদা পোশাক পরিহিত লোকজন নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে আব্দুল হাই পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।
আব্দুল হাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করে গ্রামের মসজিদে ঈমামতি ও মক্তবে বাচ্চাদের আরবী শিক্ষা দিতেন। পাশাপাশি তিনি হোমিও চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন। ছাত্র জীবনে শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন এমন কথাও এলাকাবাসী জানান।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, তার কাছে ঈমামকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কোনো খবর নেই। তবে তিনি বিভিন্ন লোকমুখে খবরটি শুনছেন। আব্দুল হাইয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলেও তিনি জানান।
এদিকে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চাপড়ী গ্রামের হাসান আলী নামের দশম শ্রেণির এক ছাত্র বিগত এক বছর ধরে নিখোঁজ। হাসানের মা সুন্দরী বেগম এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করেছেন।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মধুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র হাসান আলী এক বছর আগে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। বিদেশ যাওয়ার জন্য সে একটি পাসপোর্ট করেছিল। যার নম্বর-৫৭৩২৩৬৯।
হাসানের মা সুন্দরী বেগম জানান, নিখোঁজ হওয়ার ৭/৮ দিন পর বাড়িতে ফোন দিয়ে বলেছিল সে ভালো আছে। একটি চাকরি করছে। এরপর থেকে পরিবারে সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।
এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরেন্দ্র নাথ সরকার জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি জিডি হয়েছে। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।
/এআর