আওয়ার ইসলাম ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী কালেমার দাওয়াত ও দ্বীনি তালিম প্রসারের জন্য নিবেদিত তাবলীগ জামাতের প্রধান মারকাজ দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ এখন রণক্ষেত্র। গত রমজানে সেখানে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, রক্তারক্তি পর্যন্ত হয়েছে। তাবলীগের রীতি-ঐতিহ্য ভঙ্গ করে মাওলানা সাআদ নিজেকে স্বঘোষিত বিশ্ব আমির হিসেবে দাবি করায় এ বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। অনেকদিন যাবৎ সিনিয়র মুরব্বিরা মারকাজে অবহেলিত। মাওলানা আহমদ লাট ও ইবরাহীম দেওলা মারকাজে মানসিক নির্যাতনের শিকার। মাওলানা যোহায়েরুল হাসান ও তার সঙ্গীদের উপর দৈহিক হামলার ঘটনা অহরহ ঘটছে। ৩ জুন থেকে মারকাজ মসজিদে পুলিশ প্রহরা বসাতে হয়েছে। তাবলীগের সকল নিয়ম ভঙ্গ করে স্বঘোষিত আমির নিজের স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ দিচ্ছেন। নামাজ, জামাত, তাবলীগ, অর্থকড়িসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গ করা হচ্ছে। ভারতীয় মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, মসজিদে মেওয়াত ও যমুনাপাড়ের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে রাখা হয়েছে। বেশ ক’বার অস্ত্রের মহড়াও দেওয়া হয়েছে। ১৯ জুন মসজিদে ইফতারের সময় মারামারি হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের তাবলীগভক্ত আলেমরা এ অচলাবস্থার আশু সমাধান কামনা করি।
গতকাল এক বিবৃতিতে ইমাম ও উলামা পরিষদের উপদেষ্টা আল্লামা আবদুল হক ফারুকী, সভাপতি মুফতি হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য মাওলানা শোয়াইব এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মাওলানা সাআদকে সংযত হওয়ার জন্য মাওলানা তালহা পত্র দিয়েছেন, তাবলীগকে ধ্বংস না করার অনুরোধ জানিয়ে পাকিস্তানের বর্ষীয়ান আলেম আল্লামা সলিমুল্লাহ খান পত্র লিখেছেন।, মাওলানা আরশাদ মাদানী ও দেওবন্দের মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম নোমানী দিল্লি গিয়ে তাকে শুরা পদ্ধতি এবং মুরুব্বীদের রেখে যাওয়া সম্মিলিত আমির পদ্ধতি মানার অনুরোধ করেন কিন্তু মাওলানা সাআদ কারো কথা না মেনে অন্যায়ভাবে নিজের সিদ্ধান্ত বহাল রাখছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্বস্তসূত্রে আমরা একথা জানতে পেরেছি, আরব, আফ্রিকা ও পাশ্চাত্যের তাবলিগী সাথিরা মাওলানা সাআদকে আলটিমেটাম দিয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তানের ইজতেমায় তার যাওয়া রহিত করা হয়েছে। অবিলম্বে তাবলীগি রীতি মেনে সংশোধন না হলে বাংলাদেশের বিশ্ব ইজতেমায়ও তার অংশগ্রহণ রোধ করা হবে। কাকরাইলের দায়িত্বশীলদেরও এসব ঘটনার নিন্দা করার সাথে সাথে বিভ্রান্ত ও স্বঘোষিত আমিরকে দ্রুত আলটিমেটাম দিয়ে যথাসময় ঘোষণা দিয়ে পরিত্যাগ করতে হবে। পরিশেষে বলতে চাই, ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় এ কাজকে ধ্বংস করার দায়-দায়িত্ব স্বঘোষিত আমিরকেই বহন করতে হবে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আওয়ার ইসলাম ২৪ ডটকম / এফএফ