ফারুক ফেরদৌস : গত রবিবার ইরাকের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আইএস নেতাদের একটি বৈঠক লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছিলো মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী। বৈঠকটিতে আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা থেকে খবর রটেছে যৌথবাহিনীর ওই বিমান হামলায় তিনি আহত বা নিহত হয়ে থাকতে পারেন।
রবিবারের ওই বিমান হামলার পর আইএস সংশ্লিষ্ট বার্তা সংস্থা আল আমাককে উদ্ধৃত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং তুরস্কের সরকারপন্থী সংবাদপত্র ইয়েনিস সাফাকের খবরে বলা হয় বিমান হামলায় বাগদাদি নিহত হয়েছেন। বলা হয় আমাক এ সম্পর্কে একটি বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু পরে এরকম কোন বিবৃতির সত্যতা পাওয়া যায়নি। ডেইলি মিরর ও এনডিটিভি ইরান ও তুরস্কের সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে বাগদাদি নিহত হওয়ার খবর প্রকাশ করলেও আল জাজিরা সহ নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এই খবরটি দেয়া থেকে বিরত থাকে। এতে খবরটি নিয়ে বেশ ধোঁয়াশা তৈরি হয়।
অন্যদিকে ইরাকের এক টিভি চ্যানেলের সূত্রে ওই বিমান হামলায় বাগদাদির আহত হওয়ার তথ্য দেয় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। এই খবরে বলা হয় বাগদাদি গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। কিন্তু রবিবারের ওই বৈঠকে আবু বকর আল বাগদাদি উপস্থিত ছিলেন কি না তাই এখন পর্যন্ত কোন নির্ভরযোগ্য সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, তাদের কাছে খবর ছিল গত ৬ মাস ধরে ইরাকে আই এস এর শক্ত ঘাঁটি মোসুলের আশপাশেই ছিলেন বাগদাদি। তাই ইরান এবং তুরস্কের সংবাদ সংস্থার বাগদাদি আহত বা নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা না গেলেও পুরোপুরি উড়িয়েও দেয়া যায় না। মার্কিন সামরিক মুখপাত্র কর্নেল ক্রিস্টোফোর গ্রাবার ফক্স নিউজকে বলেছেন, ইরাকসহ অন্যান্য এলাকায় অভিযান চালানোর সময়ে এমন খবর এর আগেও প্রকাশিত হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এ খবরের বিষয়ে মার্কিন সেনাবাহিনী সন্দেহ বজায় রেখেছে।
এর আগে বাগদাদির আহত হওয়ার খবর কয়েকবার প্রকাশিত হলেও পরে খবরগুলো ভুল প্রমাণিত হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে মসুলের উপকণ্ঠে মার্কিন বিমান হামলায় আক্রান্ত একটি গাড়িবহরে বাগদাদি উপস্থিত থাকলেও তিনি বেঁচে যান।
আওয়ার ইসলাম ২৪ ডটকম / এফএফ