সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আবাসন নির্মাতাদের স্বার্থেই ওয়াকফ আইন সংশোধন: মাওলানা মাহমুদ মাদানী ভারতে ওয়াকফ আইন পাসের পর গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো মাদরাসা জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ইরানের প্রতিরক্ষা নীতি ও পশ্চিমা হুমকি: যুদ্ধ কি অবশ্যম্ভাবী? নিজ নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় জমিয়ত নেতা ড. মাওলানা শুয়াইব আহমদ লাখো তরুণের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন শাহরাস্তির ৬ বছরের শিশু ফারহানের সন্ধান চান বাবা রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকব: মাওলানা ফজলুর রহমান শান্তির দেশ চাই, হানাহানি চাই না: সেনাপ্রধান ‘এক্সেপ্ট ইজরায়েল’ পুনর্বহাল করায় সরকারকে অভিনন্দন ‘ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন’র

শারীরিক সম্পর্ক ছিল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

tonuঢাকা : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্টকর্মী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে হত্যার আগে তনুর শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে।

তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রসঙ্গে তদন্তকারী বোর্ডের প্রধান ড. কামাদা প্রসাদ সাহা বলেন, হত্যার আগে তনুর শারীরিক সর্ম্পকের প্রমাণ মিলেছে। তিনি আরও বলেন, এ হত্যার কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুলিশি অধিকতর তদন্ত দরকার।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের দুইজন অফিস সহকারী রোববার বেলা ১১টায় সিআইডি কার্যালয়ে গিয়ে ওই প্রতিবেদন দিয়ে আসেন। তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদনটি বুঝে নেন এ এসআই মোশাররফ।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ খুনের পর প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা বলেছিলেন, তনুকে হত্যার আগে ধর্ষণের কোনো প্রমাণ তারা পাননি।

কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষার পর সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুনিরা তনুকে ধর্ষণও করেছিল, তার ডিএনএ নমুনা তারা পেয়েছেন।

আলোচিত এই খুনের প্রথম ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর আদালতের নির্দেশে ৩০ মার্চ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা।

তারপর দীর্ঘ সময়েও তারা প্রতিবেদন দিতে না পারায় সমালোচনা হয়। তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ওই চিকিৎসকদের উকিল নোটিশও পাঠান।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলের সদস্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কামদা প্রসাদ বলে আসছিলেন, সিআইডির ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন পেলেই তারা প্রতিবেদন দিতে পারবেন। এ নিয়ে কিছুদিন টানাপড়েনও চলে।

চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে তনুর দাঁত ও লালা পরীক্ষার প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কাছে। তখন সিআইডি বলেছিল, এগুলোর আলাদা কোনো প্রতিবেদন তারা করেনি।

এই প্রেক্ষাপটে কুমিল্লার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম জয়নাব বেগম পূর্ণাঙ্গ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চিকিৎসকদের সরবরাহের নির্দেশ দেন। চিকিৎসকার ওই প্রতিবেদন হাতে পান গত ৭ জুন।

সেনানিবাস বোর্ডের কর্মচারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে তনু গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে নিজেদের কোয়ার্টার থেকে অন্য কোয়ার্টারে ছাত্র পড়াতে গিয়ে খুন হন।

ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনুর লাশ উদ্ধারের সময় পুলিশ ধর্ষণের সন্দেহের কথা জানালেও প্রথম ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা ধর্ষণের প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানান। এ নিয়ে সারাদেশে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত হয়।

আর সেনানিবাসের ভেতরে তনুর লাশ যেখানে পাওয়া গিয়েছিল, সেখান থেকে আলামত সংগ্রহ করে তার পরীক্ষা চালায় সিআইডি।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম / ওএস


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ