জেদ্দায় হজ-উমরাহ সেবা সম্মেলন ও মেলা পরিদর্শন করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সৌদি আরবের জেদ্দায় চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সম্মেলন ও মেলা পরিদর্শনে যান উপদেষ্টা। মেলায় সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাওজান আল-রাবিয়াহ ধর্ম উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।
মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সৌদ বিন মিশাল বিন আবদুল আজিজ এ সম্মেলন ও মেলার উদ্বোধন করেন। এ অনুষ্ঠানে মুসলিম দেশের ধর্মমন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত এবং ৮৭টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। ধর্ম উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। পরে প্রতিনিধি দল পরিবহন ও হজ সেবা প্রদানকারী কোম্পানির স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।
‘নুসুকের পথে’ শীর্ষক থিমকে উপজীব্য করে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলন ও মেলায় ৩০০টির বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশ নিয়েছে। মেলায় অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলো হজ ও উমরাহর অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করছে।
তাদের প্রদর্শনীর বিষয়গুলোর মধ্যে লজিস্টিকস, পরিবহন, ভিড় ব্যবস্থাপনা, আবাসন, আতিথেয়তা, ক্যাটারিং প্রভৃতি অন্যতম। এ বিষয়গুলো হজের আনুষ্ঠানিকতা ও হাজীদের সেবার মান উন্নত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে এমেলার স্টলে হজ খাতে স্টার্টআপ ও উদ্ভাবকদের জন্য সুযোগের বিষয়গুলো প্রদর্শন করা হচ্ছে।
এ সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে ধর্ম উপদেষ্টা এবং সৌদি আরবের পক্ষে সেদেশের হজ ও উমরাহ মন্ত্রী এ চুক্তিতে সই করেন। এ চুক্তির মাধ্যমে এবছর ৮৭ হাজার ১০০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী হজ পালন করতে পারবেন।
অন্যদিকে হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় উম্ম আল-কুরা বিশ্ববিদ্যালয় ‘পবিত্র স্থানসমূহকে মানবিকীকরণ’ শীর্ষক হ্যাকাথন আয়োজন করছে।
তীর্থযাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত ও পরিবেশগত প্রভাব কমানোর জন্য উদ্ভাবনী এবং টেকসই সমাধানের জন্য এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, উদ্যোক্তা, প্রকৌশলী, ডিজাইনার এবং বিশেষজ্ঞরা অংশ নিচ্ছে।
হজ ও উমরাহ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা হাজীদের জন্য সর্বোত্তম সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতি দেন।
বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন— ধর্মসচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, সৌদি আরবে নিযুক্ত কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম ও কনসাল (হজ) আসলাম উদ্দিন।
উল্লেখ্য, এ সম্মেলনে ৪৭টি আলোচনা অধিবেশন ও ৫০টি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ১৩০টিরও বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বক্তা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল সমাধান নিয়ে আলোচনা করবেন। এ সম্মেলনে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে যেখানে সরকারি সংস্থাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এবং কর্মকর্তারা হাজীদের যাত্রা উন্নত করার জন্য নতুন ও চলমান সেবা, প্রকল্প এবং উদ্যোগ উপস্থাপন ও আলোচনা করবেন।
বিনু/