রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ।। ২৭ পৌষ ১৪৩১ ।। ১২ রজব ১৪৪৬

শিরোনাম :
আ.লীগ আমলে বিদেশে পাচার করা টাকায় দেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা: প্রেস সচিব আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করতে হবে: চরমোনাই পীর রাষ্ট্র সংস্কারে পৃথক শরীয়া আদালত প্রতিষ্ঠার দাবি খেলাফত আন্দোলনের ‘সব দল মতের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় সরকার করতে চায় বিএনপি’ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকা মেইলের হারুন জামিল যশোর দারুল আরকাম মাদরাসার ওয়াজ মাহফিল আগামীকাল জুলাই চব্বিশ গণঅভ্যুত্থান: হাসান আল মাহমুদ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন শিগগিরই রোডম্যাপ, দ্রুত নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর: উপদেষ্টা শীতে চোখ ভালো রাখবেন যেভাবে

ইজতেমায় হামলা; সাদপন্থীদের বিচার দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ-সমাবেশের চিত্র। ছবি: আওয়ার ইসলাম প্রতিনিধি

|| হাসান আল মাহমুদ ||

গাজীপুরের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী দিল্লির মাওলানা সাদের অনুসারী ‘সাদপন্হী’ কর্তৃক গভীর রাতে হামলায় তাবলিগের মূলধারা শুরায়ি নেজামের ৩ জন মুসল্লির ইন্তেকালের ঘটনায় দেশব্যাপী প্রচন্ড্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দেশের ইসলামপ্রিয় মানুষ ও হক্কানি শীর্ষ আলেমগণ এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন। সে প্রেক্ষিতে সরকার হামলার ঘটনায় জড়িত কয়েকজন সাদিপন্থীদের গ্রেফতার করলেও মূল আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ও দাবি করে আসছেন ভুক্তভোগী ও তাবলিগের মূলধারা শূরায়ি নেজামের অনুসারীরা। এছাড়া, সম্প্রতি ইজতেমা মাঠে হামলায় জড়িতের অভিযোগে  প্রধান নেতা ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৩ জন সাদপন্থীদের আগাম জামিনের খবরে দেশব্যাপী নতুন ক্ষোভের সৃষ্টি হয় তাওহিদী জনতা ও তাবলিগের মুসল্লিদের মাঝে।

এহেন পরিস্থিতিতে আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বাদ জুমা শুরাঈ নিজামের সাথীদের উপর অতর্কিত হামলায় আহত ও নিহতদের দ্রুত বিচার ও সাদপন্হীদের নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ওলামা মাশায়েখ ও তাবলীগের সাথীসহ সর্বস্তরের তাওহিদী জনতা।

বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

তাবলিগ জামাতের বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী দিল্লির মাওলানা সাদের অনুসারীরা ভ্রান্ত এবং তারা টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে খুনের সঙ্গে জড়িত দাবি করে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ ও তাওহিদী জনতা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে বারবার হামলাকারী পথভ্রষ্ট সাদপন্থীদের সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ এবং টঙ্গী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের জামিন বাতিল করে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে। টঙ্গী ইজতেমার মাঠে হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো কার্যক্রম করতে দেওয়া হবে না।

নেতারা জানান, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে তাদের ইজতেমা শুরু হবে। এবার ইজতেমা এক পর্বেই হবে। সাদপন্থীদের কোনো ইজতেমা করতে দেওয়া হবে না। তারা ইজতেমা করার নৈতিক অধিকার রাখে না। এসময় বক্তারা টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে তিন খুনের মামলায় সব আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানান। সমাবেশে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন সহ আরো অনেক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ।

এছাড়া, রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

নরসিংদী জেলায় বিক্ষোভ

নরিসিংদী জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মাদ সালমান মাসরুর জানান, বাদ জুমা  নরসিংদী শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নরসিংদী পৌরসভা চত্বর জমায়েত হতে শুরু করে। এরপর বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর চত্বর থেকে শুরু হয়ে রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়, সমাবেশে মুফতী রফিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,তানযীম সভাপতি মাওলানা শওকত হোসাইন সরকার,মুফতী রশিদ আহমদ, মাওলানা সাদেকুর রহমান সিদ্দিকী, মুফতী ওয়ালীউল্লাহ, সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও নরসিংদী জেলা মারকাজের মুরুব্বীগন।

বক্তরা তাদের বক্তব্যে সন্ত্রাসী সাদপন্হীদের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবী করেন এবং তারা কার ইশারায় এসমস্ত খুনিদেরকে আগাম জামিন দেয়া হয়েছে জানতে চান, এবং দাবি করেন যে তাদের এই জামিন বাতিল করে তাদেরকে দ্রুত সময়ে তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে ,সাদপন্হী সন্ত্রাসীদেরকে ইজতেমা করতে দেয়া হবে না মর্মে ও তারা ঘোষণা দেন।

তানযীম সভাপতি মাওলানা শওকত হোসাইন সরকার নরসিংদীর সন্ত্রাসী সাদপন্হীদের লিডার মীর মহসীন কে আগামী ২৪ ঘন্টার গ্রেফতার করার আল্টিমেটাম দেন। এরপর তানযীমুল মাদারিসিল ক্বাওমিয়া নরসিংদী সভাপতি মাওলানা শওকত হোসাইন সরকারের সংক্ষিপ্ত দুয়ার মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

বগুড়ায় সমাবেশ থেকে তিন দাবি

টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে সাদ পন্থীদের ইজতেমা করতে না দেওয়া এবং কাকরাইল মসজিদে তাদের অনুপ্রবেশ করতে না দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বগুড়া জেলার ওলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের সাথী-মুসল্লিরা।

বগুড়া প্রতিনিধি জানান, বাদ জুমা বগুড়া শহরের সাতমাথার মুক্তমঞ্চে সর্বস্তরের মাওলানা কাজী ফজলুল করিম শাইখুল হাদিস কারবালা মাদরাসা বগুড়া এবং হেফাজতে ইসলাম বগুড়া জেলা শাখার সেক্রেটারির সভাপতিত্বে গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ দিবাগত রাতে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে ওলামাপন্থী শুরায়ি নেজামের সাথীদের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, একটি দেশে ইসলাম ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের পূর্বে সেই দেশে ওলামা বিদ্বেষ ছড়ানো হয়। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সাদপন্থীরা ওলামা বিদ্বেষ ছড়িয়ে সেই চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। অবিলম্বে তাদের ঘৃণ্য চক্রান্ত এখনই বন্ধের নিমিত্তে তিনটি দাবি পেশ করা হয়:

(১) টঙ্গীর ময়দানে সাদ পন্থীদের কোনো রকম ইজতেমা করতে না দেওয়া।

(২) ঢাকা কাকরাইল মসজিদে সাদ পন্থীদের পুনরায় অনুপ্রবেশ করতে না দেওয়া।

(৩) দেশের সকল মসজিদে সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করা।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন তাবলিগ জামাতের শুরা সদস্য মাওলানা শিবলি। চক সুত্রাপুর মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মনজুরুল ইসলাম। তাবলিগের সাথী ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হক। জামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা নাজমুল হক। জামিল মাদরাসার মুশিরে মুহতামিম মাওলানা আতাউল্লাহ নিজামি। মালতিনগর এলাহি মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল মতিন।  মুফতি শফি কাসেমি প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন কারবালা মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি ফজলুল করিম সিরাজি এবং মাওলানা আব্দুল ওয়াহেদ।

বাগেরহাটে বিক্ষোভ মিছিল

তাবলিগ জামাতের সাদপন্থি ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসিফসহ সব আসামির জামিন বাতিল করে গ্রেফতারের দাবিতে বাগেরহাটে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ওলামা-মাশায়েখরা।

শুক্রবার আসর নামাজ শেষে শহরের রেল রোড মসজিদের সামনে থেকে ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শালতলা মোড়ে সমাবেশে মিলিত হন মিছিলকারীরা।

সমাবেশে বক্তব্য দেন- মুফতি আব্দুল্লাহ, মাওলানা ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আবরারুল হক, মুফতি রমিজউদ্দিন, মাওলানা আমিরুল হক প্রমুখ।   

বক্তারা বলেন, টঙ্গী ইজতেমায় সাদপন্থিরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে চারজনকে নিহত করে ও অসংখ্য সাথীদের আহত করেছে। এ ঘটনায় বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হলেও বর্তমান সরকারের কিছু কুচক্রী মহলের মদদে হামলাকারী খুনি সাদপন্থিদের গ্রেফতারের পরিবর্তে জামিন দেওয়া হচ্ছে। যা এ দেশের মুসলমানদের রক্তের সঙ্গে চরম গাদ্দারি।

বক্তারা আরও বলেন, ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে আলমী শূরার পরিচালনায় ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি ও ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এর বাইরে আমরা ভিন্ন কোনো ইজতেমা দেখতে চাই না।

এসব দাবি মানা না হলে, ২৫ জানুয়ারি দেশের সব পর্যায়ের প্রতিনিধিত্বশীল আলেমদের নিয়ে ওলামা সম্মেলন করার ঘোষণা দেন বক্তারা।

নেত্রকোণায় বিক্ষোভ

বাদ জুমা সাদপন্থী খুনি ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নেত্রকোণার আলেমওলামা, তাবলিগের সাথী ও তাওহিদী জনতা।

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি জানান, মিছিলটি শহরের হেফাজত চত্ত্বর তথা জামিয়া মিফতাহুল উলূমের সামনে থেকে শুরু করে সাদবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক অতিক্রম করে জেলা প্রশাসনের মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে মাওলানা তাহের কাসেমী ও মাওলানা আবুল কাসেম নেতৃত্ব দেন।  মিছিল পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমাবেশে মাওলানা মাজহারুল ইসলাম ও মাওলানা আতাউর রহমান ফারুকীর যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন:   হযরত মাওলানা আবুল কাসেম, হযরত মাওলানা মুফতী তাহের কাসেমী, মাওলানা আব্দুল বাতেন, মাওলানা মফিজুর রহমান, মাওলানা আসআদুর রহমান আকন্দ, মাওলানা আবু ছায়েম খাঁন, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, মাওলানা জাহিদুল ইছলাম, মাওলানা শরীফুদ্দীন তালুকদার, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা মুস্তাফীজুর রহমান ও মারকাজের সাথী মাষ্টার আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।  

মিছিল পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন,   ভন্ড সাদপন্থী সন্ত্রাসী খুনিরা বিগত ডিসেম্বর  বিশ্ব ইজতিমা মাঠে ধারালো অস্ত্র দ্বারা অতর্কিত আক্রমণ করে আমাদের মুসল্লী ভাইদের শহীদ করেছে। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা এদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও এ যাবত মাত্র তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বর্তমান প্রশাসন। বাকীদের গ্রেফতারে টালবাহানা করছে বর্তমান প্রশাসন। কিন্তু কেন ?? বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক, যা আমাদের বোধগম্য নয়। সা‘দপন্থী সান্ত্রাসীদের ২৯ জনের বিরোদ্ধে হত্যা মামলা হওয়া সত্যেও বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সংবাদ মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম ২৩ জনের অগ্রিম জামিন হয়ে গেছে। কিন্তু কেন ? কোন্ দুঃসাহসে বর্তমান আদালত ২৩ জনের জামিন মঞ্জুর করলেন, তা আমাদের জানা নেই। আমরা দেখেছি ২০২১ সালে আলেমদেরকে আদালতে উঠানোর সময় হাতে হ্যান্ডকাপ ও পায়ে বেড়ী লাগানো হতো। কিন্তু এ সন্ত্রাসীদের জামাই আদরে রাখা হচ্ছে কেন ? কেন একেক জনকে মাত্র ২/৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হচ্ছে ? অথচ আলেমদেরকে তো মাসের পর মাস রিমান্ড দেয়া হতো।

বক্তারা আরো বলেন, কোন সন্ত্রাসীকে ছাড় নয়, সকলকে গ্রেফতার করুন, করতে হবে। সন্ত্রাসীদের জামিন আমরা মানি না। সন্ত্রাসীদের আবার জামিন কিসের ? সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবস্থান কারীরা ভালো মানুষ হতে পারে না।

এছাড়া, চট্রগ্রাম, রংপুর, খুলনা, সিলেট, যশোর, চাঁদপুর, তারাগঞ্জ, নোয়াখালীসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা সাদপন্থীদের দ্রুত বিচার ও সকল কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবি জানান।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ