সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিজস্ব নৌবাহিনী ও ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। অন্যদিকে নিজেদের ‘শক্ত’ অবস্থান জানান দিতে ফাঁকা গুলি ছুড়ছে জলদস্যুরা।
এছাড়া জাহাজের বিভিন্ন পাশে বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র বসিয়েছে তারা। ইইউ জাহাজের উপস্থিতিতে বন্দি ২৩ নাবিকের ওপর কড়াকড়িও আরোপ করছে সশস্ত্র জলদস্যুরা। তবে এখনও পর্যন্ত সব নাবিক সুস্থ আছেন।
নাবিকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, জাহাজে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেজন্য পানি ব্যবহার নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে নাবিকদের। ৩০ থেকে ৩৫ জন সশস্ত্র জলদস্যু জাহাজে সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকছে। যুদ্ধ জাহাজের উপস্থিতির পর থেকে জলদস্যুরা নাবিকদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে। কেবিনে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না নাবিকদের। একটি টয়লেট ব্যবহার করতে হচ্ছে সবাইকে। খাবার নিয়েও কষ্টে আছেন নাবিকরা।
এদিকে বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) জলদস্যুদের বিমান বিধ্বংসী বন্দুকের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। দ্য ডেইলি সোমালিয়া ও ভারতীয় বিমান বাহিনীর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে এই ছবি প্রকাশ করা হয়।
দ্য ডেইলি সোমালিয়ার পোস্টে বলা হয়, ১৭ নাবিকসহ জলদস্যুর কবলে পড়া মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। এরপর থেকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে থাকা জলদস্যুরা।
বিমান বিধ্বংসী অস্ত্রের ছবিটিতে দেখা যায়, কাপড় মুড়িয়ে সমুদ্রের দিকে তাক করে রাখা হয়েছে অস্ত্রটি।
অন্যদিকে উত্তর পশ্চিম ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তায় ইউরোপীয়ান নেভাল ফোর্স গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বাহিনীটি এমভি আব্দুল্লাহর কাছে তাদের অবস্থানের তিনটি ছবি ও একটি ভিডিও প্রকাশ করে।
এনএ/