মিরপুর প্রতিনিধি:
দারুল উলুম দেওবন্দের হাদিস বিভাগের প্রধান শায়খ আব্দুল্লাহ মারুফী (হাফি.) বলেছেন, একজন সন্তানকে যখন হাফেজ বা আলেম বানাবেন তখন এই সন্তান কেয়ামত দিবসে আপনার জন্য নাজাতের মাধ্যম হবে। কোন হাফেজ বা আলেমকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করলে এটাও সাদাকায়ে জারিয়ার মাধ্যম হবে।
আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাদ আসর মিরপুর-১১ বাউনিয়াবাদ, ব্লক-সি, জামিয়া ইসলামিয়া রওজাতুল উলুম মাদরাসায় এক ইসলাহী মজলিসে তিনি এসব বলেন।
ছাত্রদের উদ্দেশ্যে দেওবন্দের এই মুহাদ্দিস বলেন, সাহাবাদের মধ্যে হাদিসের উপর অগাধ জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন আবু হুরায়রা রাঃ এবং ফিকহের উপর ইবনে মাসউদ রাঃ। হানাফি ফিকহের অনেক মাসআ"লা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ এর সাথে সম্পৃক্ত।
‘আবু হুরায়রা রাঃ ইলম অর্জনের জন্য অনেক কষ্ট ও সাধনা করেছেন। অনাহারে অর্ধাহারে জীবন কাটিয়েছেন। ক্ষুধার তাড়নায় ভিরমি খেয়ে পড়েছেন, মানুষ মনে করেছে তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়েছে, আবু হুরায়রা বলেন না বরং ক্ষুধার জ্বালায় আমার অবস্থা এমন হয়েছে।’ -উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি জানান, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ রাদিয়াল্লাহু আনহু ঘরের বাহিরে ভিতরে সর্ব অবস্থায় প্রিয় নবীর সাথে ছিলেন। জ্ঞান অর্জনের জন্য সর্বদা সাথে থেকেছেন, যার কারনে তাকে বলা হয় সহিবুন নাআলাইন অস্সিওয়াক অর্থ জুতা ও মিসওয়াক বহনকারী। রাসুল সাঃ তার প্রশংসা করে বলেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের কথাই আমার কথা।
ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যখন তোমরা এলেম অর্জনের জন্য অনেক মুজাহাদা করবে, ওস্তাদদের পরিপূর্ণ আনুগত্য করবে, এবং মাদরাসার কাজকে নিজের কাজ মনে করবে তখন আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জানা বিষয়কে অনেক অজানা বিষয়ের মাধ্যম বানিয়ে দিবেন।
এসময় ইসলাহী মজলিসে উপস্থিত ছিলেন মাদরাসাটির মুহতামিম মুফতি আবু বকর সিদ্দিক, মুফতি আবুল ফাতাহ কাসেমীসহ স্থানীয় আলেমওলামা ও সাধারণ মুসল্লিবৃন্দ।
হাআমা/