মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ১ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকার যানজট নিরসনের উপায় খুঁজতে বিশেষজ্ঞ ও ডিএমপিকে নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্র ব্যবস্থার কাঙ্খিত সংস্কারে আলেম সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে: জমিয়ত নেতৃবৃন্দ ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে সিলেট আলেম প্রতিনিধির সাক্ষাৎ, আলোচনায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন হুব্বে রাসূল ﷺ ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা, সিরাত কনফারেন্স ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ‘আদর্শ নাগরিক গঠনে ভূমিকা রাখছে উলামায়ে কেরাম’ মহানবী (সা.) এর পুরো জীবনটাই আমাদের জন্য আদর্শ: ধর্ম উপদেষ্টা খেলাফত ব্যবস্থায় রাষ্ট্র ও সমাজ শীর্ষক সীরাতুন্নবী সা. সেমিনার অনুষ্ঠিত আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে তেজগাঁও কলেজের ইতিহাসে প্রথম সর্ববৃহৎ ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রাসুল (স.) এর আদর্শ পৃথিবীকে শত শত বছর নেতৃত্ব দিয়েছে: চবি অধ্যাপক

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে বড় চ্যালেঞ্জ ভাবছে সরকার


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কোনোভাবেই কমানো যাচ্ছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ নিলেও তা কাজে আসছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের নীতিনির্ধারকরা প্রায়ই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেও অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হচ্ছে না। ফলে আসন্ন রমজানেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ অবস্থায় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দ্রব্যমূল নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

গতকাল মঙ্গলবার ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনে একটি অধিবেশনে অংশগ্রহণের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছি, তারা যেন প্রতি মাসে এবং প্রয়োজন হলে প্রতি সপ্তাহেই বাজার মনিটরিং করেন। যাতে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে—সে বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ডিসিরা জানতে চেয়েছেন করোনার সময়ের মতো ভার্চুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করা যায় কি না। তারা বলেছেন, বিশেষ করে জঙ্গিদের আদালতে আনা-নেওয়া করায় কিছুটা ঝুঁকি থাকে। তাই ভার্চুয়াল কোর্টের কথা বলেছেন ডিসিরা। আমরা সেটা যাচাই-বাছাই করে দেখব।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডিসিদের সভায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কোর কমিটির সভা যেন প্রতি মাসে তারা করেন। যাতে সবার সঙ্গে সবার একটা বোঝাপড়া থাকে। যেন কোনো অসুবিধা হলে সেটা দ্রুত সমাধান করা যায়। সভায় ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়, যেন তারা ইয়াবা ও এলএসডির মতো মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলেন। আমরা ধূমপানের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এখন দেখা যায়, প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করে না। কেউ ধূমপান করলে তা আড়ালে করে।

মামলা জট কমাতে চান আইনমন্ত্রী: মামলা জট কমাতে ডিসিদের সহযোগিতা চেয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। ডিসিদের সঙ্গে অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্যে প্রথমে ডিসিদের কাছে মামলা জটের বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি। মামলা জট নিরসনের জন্য তারা যেন সহযোগিতা করে। দ্বিতীয় কথা যেটা বলেছি সেটা হলো, সবার কাছে বিশেষ করে ডিসিদের জন্য একটা ইস্যু, সেটা হলো মোবাইল কোর্ট অ্যাক্টের বিরুদ্ধে একটা মামলা আছে। সেটা নিষ্পত্তি করার জন্য আমরা ত্বরিত পদক্ষেপ নেব এবং একটা বিষয়ে স্পষ্টীকরণ করা হয়েছে, সেটা হলো অনেক সময় হাইকোর্ট বিভাগে কেউ যদি মামলা করে তখন হাইকোর্ট আবেদন নিষ্পত্তির জন্য একটা আদেশ দেন। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় জটিলতা দেখা দেয়, যে হাইকোর্টের আদেশ না বুঝে অনেক দেরি করা হয়। সে বিষয়ে স্পষ্টীকরণ করে দেওয়া হয়েছে।

৪ কৌশলে কাজের পরামর্শ তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর: তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ করার জন্য ডিসিদের চারটি কৌশলগত বিষয়ে সচেতনভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি। প্রথমত, ডিজিটাল ও এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স) বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা। দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা। তৃতীয়ত, যেসব আইন রয়েছে, সেগুলোর শক্ত প্রয়োগ করা। চতুর্থ, পুলিশ প্রশাসন যাতে একাডেমিয়া, মিডিয়া এবং প্রাইভেট সেক্টরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে। এই চারটি কৌশল আমরা বলেছি, সাইবার সিকিউরিটি এবং স্যোশাল মিডিয়াতে গুজব প্রতিরোধের জন্য।’

আগুনের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা উচিত: দেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আগুনের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

জেলা প্রশাসক সম্মেলনের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘খতিয়ে দেখা মানে এটা ষড়যন্ত্রের জন্য শুধু না, যে শিথিল জায়গাগুলো আছে সেগুলোকে শক্ত করা, যাতে করে সেটা আর না হতে পারে।

ক্রস বর্ডার কিলিং নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ক্রস বর্ডার কিলিং তো আসলে কোনো পরিকল্পিত কিছু না। এ ক্ষেত্রে দুই পক্ষেরই দোষ থাকে। আমাদেরও দোষ, বর্ডারের ওই পাশের ওদেরও দোষ।

নদী রক্ষা কমিটির বৈঠক করতে ডিসিদের নির্দেশনা: জেলা-উপজেলা পর্যায়ে নদী রক্ষা কমিটিগুলোর বৈঠক করার ওপর জোর দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে চিহ্নিত করে জানানোরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের সমন্বয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে ডিসি সম্মেলনে।

অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নদী রক্ষা কমিটির বৈঠকের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছি। নদী রক্ষার জন্য আমাদের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কমিটি আছে। এই কমিটিগুলো গঠন করে বছরে যেন দু-একটি সভা হয়। কারণ এ কমিটিগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত এবং নদীগুলো রক্ষার সঙ্গে কিন্তু আমাদের জলবায়ু-পরিবেশ সবকিছুর সমন্বয় আছে। কাজেই নদী রক্ষার বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।’

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ