বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ।। ৮ মাঘ ১৪৩১ ।। ২২ রজব ১৪৪৬

শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে কুদ্দুছিয়া মহিলা মাদরাসার খতমে বুখারী অনুষ্ঠানে পীর সাহেব বরুণা পাকিস্তান থেকে খেজুরসহ ফল আমদানি কর‌তে চান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বিএনপির সাথে খেলাফত মজলিসের ৭ বিষয়ে আন্তদলীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে : বিএনপি হবিগঞ্জের মাধবপুর কওমি মাদরাসা ঐক্য পরিষদের সভাপতি মুফতি রফিকুল ইসলাম আল মাদানী আসিফ নজরুলের আশ্বাসে মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুকদের আন্দোলন স্থগিত বাংলাদেশে সফররত মাওলানা আরশাদ মাদানির সফরসূচি বিজিবি-বিএসএফ সৌজন্য সাক্ষাৎ : সীমান্ত নিয়ে গুজব ছড়ানো যাবে না নির্বাচনে ফিরতে পারবে না আওয়ামী লীগ: শফিকুল আলম ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার

পাকিস্তানের নির্বাচনের প্রশংসা করে যা বললেন সিইসি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন সাড়া জাগানো ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের এবারের সাধারণ নির্বাচন সাড়া জাগিয়েছে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলকও হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কমিশন বিটের সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

আসন্ন উপজেলা সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমি জেনেছি এবার নির্বাচনে কোনো দলীয় প্রতীক থাকবে না। এটার ভালো দিক আছে। এটা রাষ্ট্রীয় নির্বাচন নয়। এলাকাভিত্তিক নির্বাচন।

এখানে মানুষ এলাকার লোককে নির্বাচিত করবেন, পুরো জাতির জন্য নয়। স্থানীয় সরকার তার নির্ধারিত এলাকা জনশাসন পরিচালনা করে থাকে। তার সীমিত ক্ষমতা থাকে। সেখানে বিভিন্ন দল, আমার মনে হয় এখানে সুযোগটা থাকবে।

নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বড় বড় রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন অশুদ্ধ হবে না। নির্বাচন অবৈধ হবে না কিন্তু নির্বাচনের যে সর্বজনীনতা সেটা খর্ব হতে পারে, গ্রহণযোগ্যতা খর্ব হতে পারে, নির্বাচনের যে ন্যায্যতা সেটাও খর্ব হতে পারে কিন্তু লিগ্যালিটি নিয়ে হয়তো প্রশ্ন হবে না। 

সিইসি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে আমার যে অভিজ্ঞতা, আমারটা ভুল হতে পারে—সেখানে আমি সব সময় লক্ষ করেছি, উপস্থিতি অনেক বেশি হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মানুষের সঙ্গে মানুষের বা ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির যে সম্পৃক্ততা, সেটা অনেক বেশি নিবিড় ও গভীর।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরীক্ষামূলকভাবে স্ট্যাগারিং পদ্ধতিতে করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘একই জেলায় তিনটি পর্বে নির্বাচন করা, এটা হয়তো মৌলিক সংস্কার নয় কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কার।

বিদ্যমান আইন বজায় রেখেই কমিশন এটা উদ্ভাবন করেছে, একটা জেলার মধ্যে আমি যদি তিনটি পর্বে নির্বাচন করি, যেটাকে ভারতে স্ট্যাগার্ড বলে, জাতীয় নির্বাচনটা স্ট্যাগারিং করে হয়—তিন মাস ধরে হয়।

‘এখানে যদি ওইভাবে নির্বাচনটা করা হয় তিনটি পর্বে, তাহলে কিন্তু দিনাজপুর থেকে চট্টগ্রামে পুলিশ আসার প্রয়োজন হবে না, একই দিনে। আমি আশা করি, এটা নির্বাচনটাকে অনেক সহজ করে দেবে। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা আছে, এটা অনস্বীকার্য। একই জেলার মধ্যে হওয়ার কারণে প্রশাসনের জন্য ডেপ্লয়মেন্ট ও মোবিলাইজেশন সহজ হয়ে যাবে, খরচ অনেক কমে যাবে,’ যোগ করেন তিনি।

হাবিবুল আউয়াল আরো বলেন, ‘আমি খরচটা বাদ দিলাম, খরচ নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। আমার কাছে যেটা প্রয়োজন, এনফোর্সমেন্ট। সার্বিক, ভোটাররা আসছেন, বিশৃঙ্খলা হচ্ছে কি না এবং কোনো রকম সহিংসতার সম্ভাবনা আছে কি না, যদি থেকে থাকে সেটাকে রোহিত করা। এটা অনেক সহজ হবে এবার এক উপজেলায় তিন দিন গ্যাপ দিয়ে নির্বাচন হবে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় বলেছি, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হোক। জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে শেষ ভাষণেও বলেছিলাম, বিএনপির জন্য সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। আমরা মুখে বলেছি, টেলিফোনে কথা বলেছি, ডিও লেটার দিয়ে আহ্বান জানিয়েছি, উনারা আহ্বানে সাড়া দেননি। আমরা খুবই খুশি হতাম; নির্দ্বিধায় বলেছি, যদি নির্বাচনটা আরো বেশি অংশগ্রহণমূলক হতো, তাহলে ভোটার উপস্থিতি নিঃসন্দেহে আরো বেশি হতো।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ