|| আদিয়াত হাসান ||
আগামীকাল শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা। বিশ্ব ইজতেমায় কখনো স্টেজ থেকে আলোচকের নাম প্রকাশ করা হয় না। তাই অনেকেই আগ্রহী হয়ে থাকে কে কখন বয়ান করবেন তা আগে থেকেই জানার জন্য। এবারের বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ইতোমধ্যেই ময়দানে বয়ানের জন্য প্রাথমিক মাশওয়ারা সম্পন্ন হয়েছে। মাশওয়ারা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বয়ানসূচী নিচে দেওয়া হলো-
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (বৃহস্পতিবার)
বাদ ফজর- মাওলানা আহমদ লাট সাহেব, ভারত
বাদ যোহর- মাওলানা রবিউল হক সাহেব, বাংলাদেশ
বাদ আছর- মাওলানা ফারুক সাহেব, বাংলাদেশ
বাদ মাগরিব- মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা সাহেব, ভারত
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (শুক্রবার)
বাদ ফজর- মাওলানা আহমদ বাটলা সাহেব,পাকিস্তান
সকাল ১০টায় তালিম- মাওলানা জিয়াউল হক সাহেব, পাকিস্তান
বাদ জুমা- মাওলানা ওমর খতিব সাহেব, জর্ডান
বাদ আছর- হাফেজ মাওলানা জুবায়ের সাহেব, বাংলাদেশ
বাদ মাগরিব- মাওলানা আহমদ লাট সাহেব, হিন্দুস্তান
-বয়ানের বাকি সিডিউল পরে জানানো হবে।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমার একদিন আগেই পুরো ইজতেমার মাঠ মুসল্লিতে পূর্ণ হয়ে গেছে। মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে ১৬০ একরের ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। অনেকেই মূল ময়দানে জায়গা না পেয়ে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে প্রবেশপথের দুইপাশে অবস্থান নিয়েছেন।
মূলত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাত থেকেই বাস, ট্রাক, ট্রেনে চড়ে ও পায়ে হেঁটে মুসল্লিরা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসছেন। আগামী রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের এ আগমন অব্যাহত থাকবে।
আয়োজকরা বলছেন, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ হবে। দুপুর দেড়টার দিকে কাকরাইলের মুরুব্বি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জোবায়ের সাহেব এ জুমার নামাজের ইমামতি করবেন। বৃহত্তম জুমার এ নামাজে অংশ নিতে প্রতি ইজতেমায় তবলিগের মুসল্লি ছাড়াও গাজীপুর ও আশপাশের জেলা থেকে আগের রাতেই ইজতেমা ময়দানে সবাই অবস্থান নিতে শুরু করেন।
১৬০ একরের পুরো ইজতেমা ময়দান ছাপিয়ে কামারপাড়া, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশপাশের অলিগলিতেও কাতারবদ্ধ হয়ে জুমার নামাজে অংশ নেবেন মুসল্লিরা। ময়দানের পশ্চিমে তুরাগ নদের পূর্ব পাশে নামাজের মিম্বর এবং উত্তর-পশ্চিম পাশে বিদেশি মুসল্লিদের কামরার পাশে বয়ান মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। নামাজের মিম্বর থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ইমাম এবং বয়ানের মঞ্চে বয়ানকারী অবস্থান করেন। বয়ান মঞ্চ থেকে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করা হবে।
প্রায় ১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মাঠটিতে বাঁশের খুঁটির ওপর ছাউনির মধ্যে মুসল্লিদের বয়ান শোনার জন্য লাগানো হয়েছে বিশেষ ছাতা মাইক। লাগানো হয়েছে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতি। দেশীয় তবলিগের মুসল্লিদের জন্য জেলাওয়ারি আলাদা খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে।
বিদেশি তবলিগ অনুসারী মুসল্লিদের জন্য মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে আধুনিক সুবিধাসংবলিত আলাদা থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে
ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. মাহফুজ জানান, বিশ্ব ইজতেমার মূল পর্ব শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার থেকেই দলে দলে তবলিগ মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে এসে অবস্থান নিতে শুরু করেন। মুসল্লির দল মাঠের ভেতরে ঢুকে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিতে শুরু করেছেন।
কেএল/