প্রশ্ন: এখন তো আধুনিক যুগ। ৫/৭ মাসের মধ্যেই পেটের বাচ্চা ছেলে নাকি মেয়ে সেটা বোঝা যায়!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে গর্ভকালীন সময়ে এমন বাচ্চার আকিকা করা যাবে কিনা?
উত্তর: আকিকার সম্পর্ক সন্তান জন্ম হওয়ার সাথে। নিয়ম হলো, সপ্তম দিনে আকিকা করা। এতে সম্ভব না হলে, চৌদ্দতম দিন, এতে সম্ভব না হলে একুশতম দিন আকিকা করা। এছাড়া অন্য সময়েও আকিকা দেওয়া যায়। কিন্তু জন্ম হবার আগে আকিকা দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
হযরত সামুরা বিন জুনদুব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-প্রত্যেক বালকের পক্ষ থেকে আকিা হল বন্ধক স্বরূপ, যা তার পক্ষ থেকে সপ্তম দিনে জবাই করবে, এবং তার মাথা মুন্ডাবে, এবং তার নাম রাখবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-২৮৪০)
হযরত উম্মে কুরজ বলেন, আব্দুর রহমান বিন আবী বকরের পরিবারের এক মহিলা বলেন, আব্দুর রহমানের স্ত্রী ছেলে সন্তান প্রসব করে, তখন আমরা তার পক্ষ থেকে একটি ভেড়া জবাই করেছি। তখন হযরত আয়শা রা. বললেন-এমনটি, বরং পদ্ধতি হল-ছেলের পক্ষ থেকে দু’টি সমান পর্যায়ের বকরি আর মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরি দিবে (আকিকা)।
তারপর এটিকে রান্না করবে, তবে এর হাড্ডিকে ভাঙ্গবে না। তারপর তা নিজে খাবে, অন্যকে খাওয়াবে, এবং দান করবে।
একাজগুলো করবে সপ্তম দিন, সেদিন সক্ষম না হলে চৌদ্দতম দিন, সেদিনও সক্ষম না হলে একুশতম দিন করবে আকিকা। (মুসনাদে ইসহাক বিন রাহহুয়া, হাদীস নং-১২৯২)
সামুরা রা. থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, প্রত্যেক শিশু তার আকিকার সাথে দায়বদ্ধ থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩১৬৫)
এনএ/