চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ এলাকায় ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গাছ কাটা নিয়ে উত্তেজনার এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি। তারা হলেন- বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘন্টোলা বিশ্বনাথপুর গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের ছেলে রনি ও কারিগঞ্জ গ্রামের সেরাজুল ইসলামের ছেলে ফারুক।
শনিবার ( ১৮ জানুয়ারি ) বেলা ১২টার দিকে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ শুরু হয়। বেলা তিনটায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও সংঘর্ষ চলছিল। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
ভারত সীমান্তের নাগরিকরা বাংলাদেশের বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সীমান্তবাসীরা লাঠিসোঁটা ও হাসুয়া নিয়ে সীমান্ত অবস্থান করছে।
কিরণগঞ্জ সীমান্ত থেকে এ উত্তেজনা শুরু হয় যা পরে ছড়িয়ে পড়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে আলোচিত সেই চৌকা সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত। ওই সীমান্তের তিন কিলোমিটার পর্যন্ত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি-বিএসএফ: ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় তলব করা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্স। অপরদিকে ভারতীয় সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চৌকা সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অন্তত ৩০টি আম গাছ ও শতাধিক বরই গাছ কেটে ফেলেছে ভারতীয় জনগণ।
কালিগঞ্জ ঘুমটোলা গ্রামের রবু বলেন, ‘আহত ফারুক মোটরসাইকেলে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি দেখার জন্য অবস্থান করলে ভারতীয়দের ছোড়া পাথরে তিনি মাথায় গুরুতর আহত হয়েছেন।’
মিঠুন নামে একজন বলেন, ‘আহত রনি সীমান্তে বাঁশ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সময় ভারতীয় ১০ জনের মতো বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে তার ওপর আক্রমণ করে। এতে তিনি আহত হন।’
এ বিষয়ে জানতে সেখানকার বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়াকে ফোন দেওয়া হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বিনু/