আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাসে খতমে তারাবি পড়ার সময় সারাদেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
আজ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে পবিত্র কুরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কুরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কুরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।
এমতাবস্থায় দেশের সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র শবে কদরে কুরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারাদেশের সব মসজিদের সম্মানিত খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
বুধবার সন্ধ্যায় রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে ও মুসলমানরা রোজা রাখা শুরু করবেন। সে ক্ষেত্রে বুধবার রাতেই এশার নামাজের পর ২০ রাকাত বিশিষ্ট তারাবি নামাজ পড়া শুরু হবে, রোজা রাখতে শেষ রাতে প্রথম সাহরিও খাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
অন্যদিকে, বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে, রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার। সেই হিসেবে বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ পড়া শুরু হবে ও শেষ রাতে খেতে হবে সাহরি।
-এসআর