শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হারামাইনে আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন যাঁরা ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি ৫ নির্দেশনা তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র

রমজানে কেউ যেন খাদ্য মজুতদারি করতে না পারে : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রোজার মাসে মানুষের যাতে কোনো কষ্ট না হয়, সে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে কেউ যাতে খাদ্য পণ্য মজুতদারি বা কালোবাজারি করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি। রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবাষির্কী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করি। জাতির পিতা আমাদেও দেশ দিয়ে গেছেন সেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমাদের লক্ষ্য। সামনে রমজান মাস, মানুষের যাতে কষ্ট না হয় যা যা প্রয়োজন আমরা কিন্তু তার ব্যবস্থা করেছি। সঙ্গে সঙ্গে এটাও আমাদের সবার নজর রাখতে হবে কেউ যেন ওসব খাবার মজুতদারি করতে না পারে, কালোবাজারি করতে না পারে তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময় পাঁচবার বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। দুর্নীতিই তাদের নীতি এবং লুটপাট করে নিয়ে যায়। বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ একটা ধ্বংস স্তুপে মধ্যে নিয়ে আসে। আবারও ভোট চুরি করে ১ কোটি ২৩ লাখ ভোয়া ভোট করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলো কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেটা মেনে নেয়নি। যার ফলে আন্দোলন এবং এর পরে জরুরি অবস্থা এদের অপকর্মের কারণেই। এর দুই বছর পর নির্বাচনে আমরা ক্ষমতায় আসি।
তিনি বলেন, ২৯ বছর তো ওই শক্তিগুলোই ক্ষমতায় ছিলো কি দিয়েছে তারা। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই এদেশের উন্নতি হয়। আজ বিএনপির নেতারা একটানা বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছে দেশটাকে নাকি আমরা ফোকলা বানিয়ে দিয়েছি, দেশটা নাকি শেষ করে দিয়েছি। দেশ নাকি ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন কথাটা হচ্ছে চোখ থাকতে কেউ অন্ধ হলে তাকে কিছু দেখানো যায় না। ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছিলাম আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। সমগ্র বাংলাদেশে ওযাইফাই কানেকশন, ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। প্রায় ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে, ১৩ কোটি মোবইল সিম ব্যবহার করে। এই সুযোগটা তারা ব্যবহার করছে, কিছুই করি নাই। আমাদের দেওয়া বেসরকারি টেলিভিশন সেটাও ব্যবহার করছে। আমাদের দেওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশ, সেটাও ব্যবহার করছে। আর তারপরেও বলছে আমরা কিছুই করি নাই বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি বজলুর রহমান, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহদে মন্নাফী প্রমুখ। আলোচনাসভা পরিচালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ