শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে বিনা খরচে আরও কর্মী নেবে জাপান, সমঝোতা স্মারক সই

দেলদুয়ার ঐতিহ্যবাহী মুসলিম নর্থ হাউস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্ভুক্ত দেলদুয়ার উপজেলায় অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদারবাড়ির নাম দেলদুয়ার জমিদারবাড়ি। এই জমিদারবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন ফতেহদাদ খান গজনভি লোহানি। জমিদারদের পূর্বপুরুষ আফগানিস্তানের গজনি থেকে এসেছেন।

জমিদারবাড়ির জমিদারদের মধ্যে দুজন ছিলেন খুবই আলোচিত স্বনামধন্য জমিদার। তাঁরা হলেন স্যার আবদুল করিম গজনভি এবং স্যার আবদুল হালিম গজনভি। আবদুল হাকিম খান গজনভি ও করিমুন নেসা খানম চৌধুরানীর সন্তান ছিলেন তারা দুজন। তাঁদের মাতা করিমুন নেসা ছিলেন বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত ও কবি বেগম রোকেয়ার বোন। তখনকার সময় তাঁরা ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত।

দেলদুয়ার জমিদারবাড়িটি অনেকের কাছে ‘নর্থ হাউস’ নামেও পরিচিত। তবে জমিদারবাড়িটি কবে বা কখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে—সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রায় সাত ফুট দেয়ালে ঘেরা মূল একতলা ভবনটি ইংরেজ ঔপনিবেশিক স্থাপত্যশৈলীর আদলে তৈরি করা। গাঢ় খয়েরি রঙের দেয়াল ও কারুকাজ করা সাদা রঙের দরজা-জানালা ভবনটিকে বহুগুণ আকর্ষণীয় করে তুলেছে। ভবনের ছাদ চারদিক থেকে ছোট ছোট মিনার দিয়ে ঘেরা।

বাড়ির সামনে একদিকে সবুজ ঘাসের লন অন্যদিকে বাড়ির পারিবারিক গোরস্থান। বাড়ির পূর্ব পাশে সুন্দর কারুকাজ করা তিন গম্বুজবিশিষ্ট একটি মসজিদ আছে। এই মসজিদের স্থানে আগে আরেকটি মসজিদ ছিল। প্রায় দুই ফুট উঁচু ভিত্তির ওপর স্থাপিত বর্তমান মসজিদটি ১৮৯০ সালের দিকে নির্মাণ করেন আবদুল করিম গজনভি। মসজিদের সামনে অর্ধডিম্বাকৃতি বারান্দা দাঁড়িয়ে আছে গ্রিক স্থাপত্যের অনুকরণে সাজানো ছয়টি থামে ভর করে।

১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে এই জমিদারবাড়ির জমিদারিরও সমাপ্তি ঘটে। তবে অন্য জমিদারবাড়ির মতো এই জমিদারবাড়িটি পরিত্যক্ত বা অবহেলা-অযত্নে নেই। জমিদারবাড়িটি দেখাশোনা করার জন্য একজন কেয়ারটেকার আছেন। তাই এখনো জমিদারবাড়িটি আগের মতোই আছে।

টিএ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ