আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ২৪টি দেশের সেনাপ্রধানরা।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ইউএস আর্মি প্যাসিফিকের যৌথ আয়োজনে কক্সবাজারে এক সেমিনার শেষে সামরিক কর্মকর্তারা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
এ সময় বাস্তুচ্যুত রাখাইন নাগরিকরা আগত প্রতিনিধিদলকে তাদের সমস্যা ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন।
১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি ওসমান গণি বলেন, আমরা তৃতীয় কোনো দেশ নয়, নিজেদের দেশেই ফিরে যেতে চাই। সেনা কর্মকর্তাদের আমরা জানিয়েছি, আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতায় আমাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা হোক।
এছাড়াও সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দলকে ক্যাম্পে কর্মরত জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ব্রিফিং করেন। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে ২৪টি দেশের প্রতিনিধিরা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পের বাস্তবচিত্র স্বচক্ষে অবলোকন করেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার ইনানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি ম্যানেজম্যান্ট সেমিনারের (আইপিএএমএস) তিনটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী শান্তিরক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় ভূমি শক্তি।
গত সোমবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিন দিনব্যাপী এ সেমিনারের উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ এবং ২০১৪ সালের পর তৃতীয়বারের মতো সহ-আয়োজক হিসেবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ এই আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করছে বাংলাদেশ।
-এএস