পৃথিবীর সব জায়গায় শয়তানের অবাধ বিচরণ। জান্নাত থেকে বিতাড়িত হওয়ার সময়েই সে মহান আল্লাহর কাছ থেকে এ শক্তি চেয়ে নিয়েছে। ঘর মানুষের নিরাপদ আশ্রয়। কিন্তু এই ঘরেও শয়তান প্রবেশ করে অশান্তির রাজত্ব কায়েম করে। তাই নিজ ঘরকে শয়তানের প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখা জরুরি।
নবীজি সা. কিছু আমলের কথা বলেছেন, এর মাধ্যমে ঘরকে শয়তানের প্রভাবমুক্ত রাখা যায়। রাসুল সা. বলেন, ‘তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবর বানাবে না। নিশ্চয়ই যে ঘরে সুরা বাকারা তেলাওয়াত করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান পলায়ন করে’ (তিরমিজি : ৪/১৪৬)। কারণ এ সুরার তেলাওয়াতের বরকতে এবং তাতে যা রয়েছে সে অনুযায়ী আমল করার কারণে শয়তান তাদের প্রতারণা দেওয়া ও গোমরাহ করা থেকে নিরাশ হয়ে যায়।
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা. বর্ণনা করেন, রাসুল সা. বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যখন নিজ ঘরে ঢুকে এবং প্রবেশ করার পর খাওয়ার সময় আল্লাহকে স্মরণ করে তখন শয়তান তার সহযোগীদের বলতে থাকে এই ঘরে তোমাদের কোনো থাকার জায়গা নেই। আর এই ঘরে তোমাদের রাতের খাবারেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। আর যদি কোনো ব্যক্তি ঘরে ঢুকে এবং প্রবেশের সময় আল্লাহকে স্মরণ না করে তখন শয়তান তার সহযোগীদের বলে তোমরা তোমাদের থাকার জায়গা পেয়ে গেছো। আর সে যদি খাওয়ার সময় আল্লাহকে স্মরণ না করে তখন শয়তান তার সহযোগীদের বলে এই ঘরে তোমরা তোমাদের রাতের খাবার পেয়ে গেছো।’ (মুসলিম : ১/৫৩৯)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এনএ/