শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত সফল: তথ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত সফল ও সন্তোষজনক হয়েছে। বিএনপির এতে মন খারাপ হয়েছে। সে কারণে উনারা এখন আবোল-তাবোল বকছেন।

আজ রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে। এই সফরে অনেকগুলো চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে বিনা শুল্কে তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির সুযোগ। এটির জন্য আমরা বহু বছর ধরে চেষ্টা করে এসেছি।

তিনি বলেন, এতদিন ধরে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহারের বিষয়ে যে বাধা ছিল তা দূরীভূত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর দিয়ে ভারতের স্থলভাগের ওপর দিয়ে নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি এবং রফতানি করতে পারবে। এটি একটি বড় অর্জন।

‘আমাদের সরকার ও জননেত্রী শেখ হাসিনাই ভারতের কাছ থেকে সবকিছু আদায় করেছেন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতে মামলা করে আমরা ভারতের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা আদায় করেছি। চুক্তি হওয়ার ৪০ বছর পরও আমাদের ছিটমহলের যে দাবি আদায় হচ্ছিল না, সেটি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, ২০টি পণ্য ছাড়া বাংলাদেশের সকল পণ্য রফতানিতে ভারত শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, যেগুলো অন্য কেউ আদায় করতে পারেনি। আর কুশিয়ারা নদীর পানি নিয়েও আমাদের পক্ষে যে চুক্তি হয়েছে সেটি একটি বড় অর্জন।

তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ধরনের আপত্তি নেই। কিন্তু ভারতের বিধি-বিধান অনুযায়ী সেখানে রাজ্য সরকারের একটি অনুমোদন লাগে। রাজ্যের পক্ষ থেকে যেহেতু আপত্তি আছে সে কারণে এটি এতোদিন ধরে এগোয়নি, তবে এটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করছি খুব শিগগিরিই এটির সমাধান হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, কেন এতো ভালো সফর হলো সেজন্য বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেবদের মন খুবই খারাপ। উনাদের কাজ তো বিভ্রান্তি ছড়ানো। সেটি নিয়েই তারা ব্যস্ত আছেন। অথচ ভারতে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়া গঙ্গার পানির হিস্যার কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন, যেটি তিনি নিজেই ব্যক্ত করেছিলেন, সেই ভিডিও ফুটেজ এখনো আমার কাছে আছে, আপনাদের কাছেও আছে। যে দলের নেত্রী ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের পানির হিস্যার কথা ভুলে যায় তারা আবার এগুলো নিয়ে কথা বলে কোন মুখে!

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ