আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত মেনে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ডলার কেনাবেচার অভিন্ন দর ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার থেকে রেমিট্যান্স আনতে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ দর হবে ১০৮ টাকা ও রপ্তানি বিল নগদায়ন হবে ৯৯ টাকায়।
আর আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হবে রেমিটেন্স ও রপ্তানির বিনিময় হারের গড় করে।
আজ রোববার এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)।
বৈঠকের পর বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম ডলারের এই বিনিময় হার ঘোষণা করে বলেন, এই বিনিময় হার সোমবার থেকে কার্যকর হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়ে সময়ে পরিবর্তন আনা হতে পারে।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, আন্তঃব্যাংক লেনদেন বাজার সচল করতে ডলারের অভিন্ন দর প্রস্তাব করবে বাফেদা। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ব্যাংকগুলো যে দরে বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে ডলার সংগ্রহ করবে তার গড় দরের সঙ্গে সর্বোচ্চ ১ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে পারবে। আর সেই দরের সঙ্গে সর্বোচ্চ দেড় টাকা যোগ করে খোলাবাজারে ডলার বিক্রি করবে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো।
গত বছরের জুনেও দেশের বাজারে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৫ টাকার ঘরে ছিল। এরপর থেকে আমদানি-রপ্তানিতে বড় ধরনের ঘাটতির কারণে ডলারের চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর চলতি বছরের মার্চ থেকে ডলারের চাহিদা আকাশচুম্বী হতে থকে। অস্থিরতা কমাতে ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহের পাশাপাশি কিছু নীতি সিদ্ধান্তসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দর নির্ধারণের বিষয়টি বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। নিয়মিত টাকার মান কমানোর পাশাপাশি চাহিদা মেটাতে বড় অঙ্কের ডলারও বিক্রি করে আসছিল।
কিন্তু চাহিদা ও অস্থিরতা না কমায় গত ২৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈঠক করে বাফেদা ও এবিবির সঙ্গে। ওই বৈঠকে নির্দিষ্ট একটি ‘সিলিংয়ের’ মধ্যে আন্তঃব্যাংকে লেনদেনে ডলারের একক দর নির্ধারণের সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছিল বাফেদা।