নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবের প্রধান পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে কলরবের পৃষ্ঠপোষক রশিদ আহমাদ ফেরদৌস। সদ্য গঠিত কলরবের মূল ফোরাম স্থায়ী পরিষদ সদস্যদের গোপন ভোটের ভিত্তিতে তিনি প্রধান পরিচালক নির্বাচিত হন। গতকাল রবিবার রাতে ১৮ পুরানা পল্টনস্থ কলরব অফিসে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নিয়মতান্ত্রিকভাবে কলরবের সকল শিল্পী ও দায়িত্বশীলদের মতামতে ৬ সদস্যের স্থায়ী পরিষদ গঠন করা হয়। স্থায়ী পরিষদ গঠন বিষয়ে কলরব সূত্রে জানা যায় - কলরবের স্থায়ী পরিষদ হবে কলরবের মূল পরিষদ, এই পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে কলরব পরিচালিত হবে। স্থায়ী পরিষদের সদস্যরা হলেন - রশিদ আহমাদ ফেরদৌস, শাহ্ ইফতেখার তারিক, ইমতিয়াজ মাসরুর, সাঈদ আহমাদ, মুহাম্মদ বদরুজ্জামান ও আবু রায়হান।
গোপন মতামত গ্রহণ করে এই ৬ সদস্যের নাম ঘোষণা করেন প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে কলরবের শুভাকাঙ্ক্ষী ও উপদেষ্টা মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও মুফতী শফিকুল ইসলাম।
এর আগে গত আগষ্ট মাসের ৩০ তারিখে কলরবের সকল সদস্যদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কলরবের নীতিমালা অনুমোদন করা হয়। নীতিমালার আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কলরবের সদস্যরা তখন বিগত দশ বছর কলরবের পাশে থাকা শুভাকাঙ্ক্ষী এবং উপদেষ্টাদের বেশকিছু নাম প্রস্তাব করে। এর মধ্য থেকে সর্বাধিক মতামত পাওয়া উপরে উল্লেখিত তিনজনের সমন্বয়ে একটি নিরীক্ষণ কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটি কলরবে সাংগঠনিক অবস্থান বিবেচনা করে সকল সদস্যদের মতামত গ্রহণের মাধ্যমে স্থায়ী পরিষদের ৬সদস্যের নাম ঘোষণা করেন। পরবর্তিতে এই ছয় সদস্যের ভোটে রশিদ আহমদ ফেরদৌস কলরবের প্রধান পরিচালক নির্বাচিত হন।
প্রধান পরিচালক রশিদ আহমাদ ফেরদৌস বলেন - সম্প্রতি জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনার জন্য মতামতের ভিত্তিতে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে এবং কলরবের সকল স্তরের শিল্পীরা সেই গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেছেন । যে গঠনতন্ত্রের আলোকেই আগামীতে কলরব পরিচালিত হবে।
তিনি আরও বলেন - কয়েকটি ধাপে ৪টি পরিষদের মাধ্যমে কলরব পরিচালিত হবে। এর মধ্যে নীতিমালার আলোকে শীঘ্রই নির্বাচনের মাধ্যমে কলরবের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হবে। তার আগে সারাদেশে কলরবের 'তালিকাভূক্ত সমর্থক' সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান তিনি। যারা কলরবের নির্বাহী পরিষদের পরিচালক নির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন। একই সাথে একটি শক্তিশালী উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের কালজয়ী ইসলামি সংগীতশিল্পী আইনুদ্দিন আল আজাদ ২০০৪ সালে কলরব গঠন করেন। এরপর ধারাবাহিক কার্যক্রম পরিচালনা করে কলরব সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে । ২০১০ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় আইনুদ্দিন আল আজাদের মৃত্যুর পর অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কলরব এখন সারাদেশে জনপ্রিয় একটি সংগঠন। এ সংগঠনকে আরও বেগবান করতে কলরবের বর্তমান ফোরাম বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে বলে কলরব সূত্রে জানা গেছে।
কেএল/