আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চলতি বছর হজ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২৬টি এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে সরকার।
গত ১৬ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ‘হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ অনুযায়ী এসব এজেন্সিকে জবাব দিতে বিভিন্ন মেয়াদে সময় দেওয়া হয়েছে।
গত ৮ জুলাই হজ অনুষ্ঠিত হয়। এ উদ্দেশ্যে ৫ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ১৬৫টি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যান ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজযাত্রী (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ)। হজ শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হয় গত ৮ আগস্ট।
এবার ৩৪৯টি হজ এজেন্সি হজ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ বছর সরকারিভাবে চার হাজার ১১৫ জন ও বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে ৫৫ হাজার ৮৮৫ জন হজ পালন করেছেন।
তবে হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত অনেক এজেন্সির বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো হলো- হজ পালনের জন্য নিবন্ধনের অর্থ নিয়েছে কিন্তু হজের নিবন্ধন করেনি। প্রতিশ্রুতি দিয়েও হজে পাঠায়নি। হজে পাঠাতে না পরলেও অর্থ ফেরত দিচ্ছে না, নিচ্ছে প্রতারণার আশ্রয়।
এছাড়া অস্বাস্থ্যকর, নিম্নমানের এবং পর্যাপ্ত খাবার না দেওয়া, নিম্নমানের হোটেলে রাখা, পানির ব্যবস্থা না করা, এক রুমে গাদাগাদি করে ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে হজযাত্রীদের রাখার অভিযোগ রয়েছে।
-এএ