শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

জিয়ার আমলের গুম-খুন নিয়ে আমরা জাতিসংঘে যাবো: তথ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ‘জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন ঠাণ্ডা মাথার খুনি, সকাল বেলা নাস্তা করতে করতে ফাঁসির আদেশে সই করতেন তিনি ’ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের গুম-খুনের রাজনীতির কালো অধ্যায় নিয়ে দীপ্ত টেলিভিশন নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘গণফাঁসি ৭৭’র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৭৭ সালে হত্যার শিকার বিমান ও সেনাবাহিনীর অফিসার ও জওয়ানদের বোবাকান্না, বিএনপি ও জিয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে শুরু করে আমরা বিশ্বাঙ্গণে নিয়ে যাবো। যারা মানবাধিকারের কথা বলে এ দেশে প্রপাগান্ডা ছড়ায়, তাদের স্বরূপ উন্মোচন করা হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দাবি উঠেছে, একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমান সেনা ও বিমান বাহিনীর যেসব অফিসার এবং জওয়ানদের হত্যা করেছিল সেই সত্য উন্মোচন করে জাতির কাছে জানানো। আমি এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে এখানে যারা বক্তব্য রেখেছেন, তারা জানেন না তাদের বাবা ও স্বামীর কবর কোথায়। কখন ফাঁসি হয়েছে, কীভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ জবাব খালেদা জিয়া, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের কাছে চাই। জিয়াউর রহমান কীভাবে ঠাণ্ডা মাথায় সেনাবাহিনীর অফিসার ও জওয়ানদের হত্যা করেছিল, কী নৃশংসভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে দিনের পর দিন। আজকে দাবি উঠেছে, একটি উচ্চতর কমিশন গঠন করে এ সত্য উন্মোচন করে জাতিকে জানানো। আমি এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি।’

তিনি বলেন, ‘যে অজানা কান্নাগুলো হারিয়ে গিয়েছিল, যে কথাগুলো জাতি জানতো না, যারা দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে বুকের মধ্যে কান্না চেপে রেখে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছিল, যাদের অব্যক্ত বেদনার কথা মানুষের সামনে বলতে পারেনি, যাদের কান্না নিজের পরিবারও অনেক ক্ষেত্রে শোনেনি, আজকে তাদের জড়ো করে জিয়াউর রহমানের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার কাহিনী জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে দীপ্ত টেলিভিশন, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সকাল বেলা নাস্তা করতে করতে ফাঁসির আদেশে সই করতেন। এটি তার এডিসির বক্তব্য। একসঙ্গে তিনি ২১টি পর্যন্ত ফাঁসির আদেশে সই করেছে। এমনও ঘটেছে যে ফাঁসি হয়ে গেছে, কিন্তু রায় হয়েছে তিনমাস পর। আইনের কোনো যুক্তি ওখানে শোনা হতো না। কখন যে বিচার হয়েছে, কেউ জানতো না। পরিবারও জানে না। হঠাৎ মধ্যরাতে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হলো। কোথায় কেন নিয়ে যাচ্ছে- এমন প্রশ্নে বলা হতো আপনার ফাঁসি হবে। এ কথাগুলো দেশবাসীর জানা ছিল না।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আজকে মানবাধিকারের কথা বলে নয়াপল্টনের অফিস এবং প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির তত্ত্বাবধানে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা বক্তৃতা করেন। ৪৫ বছর ধরে জিয়াউর রহমানের নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার পরিবারগুলোর কান্নার জবাব বিএনপি নেতাদের কাছে চাই। এ পরিবারগুলোর যে বোবাকান্না সেটির জবাব, এ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাব বিএনপি ও তাদের নেতাদের কাছে চাই।’

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওৎ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম ও খুন করেছেন, কারাগারে নিক্ষেপ করেছেন। সারাদেশে দিনের পর দিন মার্শাল ল দিয়ে দেশ শাসন করেছেন।’

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ