আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আরও লাশ ফেলতে চায় বিএনপি বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নারায়ণগঞ্জের ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আপনারা জানেন যে, বিএনপি মানুষ মারার রাজনীতি করে। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি কী করেছে? মানুষ মারার রাজনীতি করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করেছে। পৃথিবীর অনেক জায়গায় নানা ধরণের গন্ডগোল, জাতিগত সংঘাত, সহিংসতা হচ্ছে বা হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য একটি রাজনৈতিক দল সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনা গত তিন-চার দশকে পৃথিবীর কোথাও ঘটেনি যেটি বিএনপি বাংলাদেশে করেছে। তারা এ ধরণের গণ্ডগোল করে সারাদেশে আরো লাশ ফেলতে চায়।’
দেশব্যাপী গণ্ডগোলের পরিকল্পনা নিয়েই বিএনপি মাঠে নেমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সে কারণে তারা সারাদেশে পুলিশ, পথচারী, মানুষের সম্পত্তির ওপর হামলা চালিয়েছে। অর্থাৎ দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যে কাজগুলো করেছিলো সেটির নতুন সংস্করণ শুরু করেছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ পুলিশের সাথে আলাপ করেছি। সেখানে পুলিশ বা জেলা প্রশাসন কিংবা সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়াই বিএনপি রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করেছিল। রাস্তা বন্ধ না করে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার জন্য পুলিশ তাদের অনুরোধ জানায়। সেটি না শুনে তারা রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং ইট-পাটকেল ও পাশের রেললাইনের পাথর পুলিশের ওপর নিক্ষেপ করে হামলা পরিচালনা করে, সেখানে থাকা পুলিশ বক্স ভাংচুর করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে এবং লাঠিচার্জ করেছে। সেখানে যিনি মারা গেছেন তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাতিজা। তার পূর্ণ পরিচয় তদন্তাধীন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানোর কথা যেটি বিএনপি বলেছে সেটি বিএনপির বেলায় প্রযোজ্য, তারা পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা তৈরি করার অপচেষ্টা হিসেবে এই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে’।
-এসআর