আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আদালতের রায়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নিবন্ধন হারানোর ফলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা দলীয় প্রতীকে (দাঁড়িপাল্লা) নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
আজ বুধবার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।
আহসান হাবিব খান বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী আদালতের রায়ে নিবন্ধন হারিয়েছে। তাই দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যেভাবে ভোটে দাঁড়ায়, যে শর্তগুলো আছে সেগুলো পূরণ করলে যে কেউ ভোটে দাঁড়াতে পারবে। সে নিয়ম অনুযায়ীই চলবে। ঢালাও বলতে পারব না।’
আগামী সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা পাইলট হিসেবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন ও পাঁচ পৌরসভা নির্বাচনে ব্যবহার করে ভালো সাড়া পেয়েছি। কুসিকের চারটা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে যখন কথা উঠল, কাজেই সিসি ক্যামেরা কিন্তু দেখা গেছে কখন কেন্দ্র থেকে ভোটের ফলাফল প্রিন্ট নেওয়া হয়েছে। ফুটেজ দেখেই কিন্তু ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। কাজেই এটা রাখার ঐকান্তিক ইচ্ছা আছে।’
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘গাইবান্ধা-৫ আসনের আসন্ন উপ-নির্বাচনেও সিসি ক্যামেরা থাকবে। পরবর্তী সিটি নির্বাচনেও ক্যামেরা থাকবে। আমাদের ইচ্ছা আছে সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই সিসি ক্যামেরা বসানোর। এতে বিশাল অর্থের প্রয়োজন হয়। এতো আসনে সাপোর্ট দেওয়ার মতো কোনো প্রতিষ্ঠান আছে কিনা, সেটা দেখা হচ্ছে। আন্তরিক ইচ্ছা আছে আমাদের। এটার জন্য আমরা একটা বাজেট রাখব। সেটার ওপর সিদ্ধান্ত নেব।’
-এটি