আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সিফাত মিয়া (১৩) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক প্রতিবেশীকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে মির্জাপুরের ত্রিমোহন মাঝিপাড়া এলাকার একটি ধইঞ্চা খেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সিফাত উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে ও মির্জাপুর আফাজ উদ্দিন দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সে সদরের আফাজ উদ্দিন দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সোমবার বিকেলে সিফাত একই গ্রামের বাসিন্দা তার বন্ধু নুরুল আমিনকে নিয়ে মির্জাপুর রেলক্রসিং এলাকায় চটপটি খাচ্ছিলো। এ সময় দুটি ছেলে এসে কানে কানে সিফাতকে কিছু বলে ডেকে নিয়ে যায়
এদিকে সন্ধ্যা হলেও সিফাত বাড়ি না ফেরায় তার বাবা মোবাইল ফোনে বার বার কল দেন। কিন্তু রিসিভ না করায় তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে সিফাতের বন্ধু নুরুল আমিনকে ফোন দিলে সে জানায়, সন্ধ্যায় রেলক্রসিং এলাকা থেকে সিফাতের দুই বন্ধু তাকে ডেকে নিয়ে গেছে। গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ১২টার দিকে ত্রিমোহন মাঝিপাড়ার একটি ধইঞ্চা খেতে তার মরদেহ পরে থাকতে দেখেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
সোমবার রাতেই সিফাতের বাবা শহিদ মিয়া মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শহিদ মিয়া জানান, গত এক মাস আগে তুচ্ছ ঘটনায় পাশের বাড়ির তালে সিদ্দিকী ও তার নাতি হিরন (২৭) মিলে সিফাতকে বেধড়ক মারপিট করে তার হাত ভেঙে দেয়। এ ঘটনায় গ্রাম্য সালিসে তালে সিদ্দিকী ও তার নাতিকে দশ হাজার টাকা জরিমানা ও দশটি জুতার বাড়ি দেওয়া হয়। তিনি জানান, সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সিপাতদের প্রতিবেশী তালে সিদ্দিকীকে আটক করেছে।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। সিফাত হত্যাকরীদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।
-এসআর